ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ কী নিয়ে, প্রশ্ন ড. কামালের

প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ কী নিয়ে, প্রশ্ন ড. কামালের

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আবারও সংলাপে বসার যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, তাতে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কী নিয়ে এই সংলাপ তা জানতে চান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড: কামাল হোসেন।

যদিও রোববার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার নতুন করে আবারও সংলাপের উদ্যোগকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। একই সঙ্গে আমন্ত্রণ পেলে সেই সংলাপে যোগ দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন ড. কামাল হোসেন।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ডাকবেন সংলাপে, একটু তো ইঙ্গিত থাকবে কী কী বিষয় নিয়ে এই সংলাপ। যদি সেটা আমাদের কাছে বিবেচনাযোগ্য হয়, তখন আমরা কমিটিতে সিদ্ধান্ত নেব এ ব্যাপারে।’

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সংলাপের আমন্ত্রণ এলে তাতে সাড়া দেবেন কীনা, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমি একে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করবো। কিন্তু সেটা জানতে হবে কী প্রেক্ষাপটে এটার আয়োজন করা হচ্ছে, কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, শনিবার দলের এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এই সংলাপের কথা বলেন। তিনি জানান, নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল তাদের সঙ্গে আবারও সংলাপ হবে।

নির্বাচনের আগে ঐ সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট সহ আরও বহু দল। ঐ সংলাপের সময়েই বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করে।

নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের পর কেন এরকম একটি সংলাপের উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী?

বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সরকারের একজন মন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করতে। সেই লক্ষ্যেই তিনি কিন্তু ৭০টির বেশি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন নির্বাচনের আগে। তখন শুধু রাজনীতি নয়, দেশ গঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে তাদের ভুলে যাননি, তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করার আগ্রহ যে তার আছে, সেই বিষয়টাই এখানে পরিস্ফুটিত হয়েছে।’

কী কথা হতে পারে সংলাপে?

যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে যোগ দেন, সেখানে কী জানাবেন তাকে? এ প্রশ্নের উত্তরে ডঃ কামাল হোসেন বিবিসিকে বলেন, সেখানে অবশ্যই নির্বাচনের ব্যাপারে কথা হবে।

তিনি বলেন, ‘সংলাপের প্রস্তাব আসলে প্রথমে আমরা জানতে চাইবো যে কী বিষয় নিয়ে হবে। তারপর আমাদের কমিটির বৈঠক হবে। ওখানে বসে আমরা আমরা আলোচনা করে সুচিন্তিত উত্তর দেব।’

ড: কামাল হোসেন বলেন, সংলাপে যোগ দেয়া বা না দেয়ার সিদ্ধান্তটি তারা প্রথম নিজ দল গণফোরাম থেকেই নেবেন। বিরোধী জোট জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের অবস্থার সঙ্গে এখনকার অবস্থার একটা পার্থক্য রয়েছে। কাজেই যে কোনো প্রস্তাবের ব্যাপারে এখন নতুন করে চিন্তা করতে হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চেয়ে এখন তিনি গণফোরামকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কীনা, এ প্রশ্নের জবাবে ডঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘এটা তো সবসময় দিতে হয়। নিজের পার্টিকে গুরুত্ব দিয়ে তারপর তো ঐক্যফ্রন্ট।’

যদি বিএনপি এই সংলাপে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তখন কী গণফোরাম সংলাপ যাবে?

এর উত্তরে ডঃ কামাল হোসেন বলেন, ‘এটা একদম স্পেকুলেট কস্পেকুলেট করা উচিৎ নয়। এটা যখন ঘটবে তখন আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত