ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণসম্মিলনে জামায়াতকে রাখবে না ঐক্যফ্রন্ট

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৬:৫৬

গণসম্মিলনে জামায়াতকে রাখবে না ঐক্যফ্রন্ট

ভোটে অনিয়ম ও কারচুপির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার পাশাপাশি পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। জোটটির পক্ষ থেকে এ সংলাপকে ‘গণসম্মিলন’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

এ সংলাপে আওয়ামী লীগসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ইতিমধ্যে একটি তালিকাও করে ফেলেছে তারা। তবে গণসম্মিলনে জামায়াতে ইসলামীকে আমন্ত্রণ করবে না ঐক্যফ্রন্ট।

জামায়াতে ইসলামী বাদে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলো, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ বাম প্রগতিশীল ঘরানার অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোকেও এ সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মতে, সবার উপস্থিতি সংলাপকে কার্যকর করবে।

সংলাপে রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি সংবিধান বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক, এনজিও প্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন, কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তন ও গুলিস্তানের মহানগর নাট্য মঞ্চ- এই তিনটি ভেন্যু গণসম্মিলনের জন্য প্রাথমিকভাবে ঠিক করে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনকে এ ব্যাপারে আবেদন জানানো হবে। অনুমতি মিললে এর যে কোনো একটিতে অনুষ্ঠিত হবে এই গণসম্মিলন। এর আগে আমন্ত্রণপত্র ছাপানা ও বিতরণের কাজ শুরু হবে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা গত ৮ জানুয়ারি এক বৈঠকে জাতীয় সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন এ জোটের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মূলত সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী করণীয় নিয়ে সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের মতামত জানতে এ সংলাপের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

কিন্তু নিজেদের মধ্যে কিছুটা টানাপোড়েন, সমন্বয়হীনতাসহ বিভিন্ন কারণে এ উদ্যোগ কিছুটা থমকে দাঁড়ায়। এ অবস্থার মধ্যেই বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সংলাপের তারিখ ও স্থান চূড়ান্ত করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করে আজ বৃহস্পতিবার একই জায়গায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। ড. কামাল হোসেন এতে সভাপতিত্ব করবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানান, মানুষ ৩০ নভেম্বর ভোটের নামে প্রহসন দেখেছে। মধ্যরাতে ভোটের বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় এসব খবর উঠে এসেছে। এই ভোট ডাকাতি এবং প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য একটু সময় প্রয়োজন। আমরা সেই সময়টা নিচ্ছি। সংলাপের আয়োজন করতে যাচ্ছি।

‘এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। তারা সবাই কথা বলবেন, মতামত দেবেন। সবার মতামত নিয়ে আমরা আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করবো’ বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, দেশের জনগণ ক্ষুব্ধ। তারা এই অবিচার মেনে নেবে না। আজ হোক, কাল হোক এর বিরুদ্ধে তারা রুখে দাঁড়াবেই।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত