ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:১৩

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না বিএনপি

বর্তমান সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ((ইসি) অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি। ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে না। কেউ প্রার্থী হতে চাইলে তাকে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রায় সবাই একমত হয়েছেন। তারা বলেছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট জালিয়াতির পর বর্তমান সরকার ও ইসির অধীন আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায় না। কারণ, সব নির্বাচনের ফলাফলই পূর্বনির্ধারিত এবং ইসির ভূমিকাও একই থাকবে। তাই শুধু শুধু নির্বাচনে গিয়ে এই সরকার ও ইসিকে বৈধতা দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না। এই মনোভাবের কথা বিএনপি শিগগির ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবে।

দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে। বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও অংশ নেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, শিগগিরই বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া, না নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে বিএনপির হাইকমান্ড।

দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের ভাষ্য, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেকোনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আপাতত ভাবছে না দলটি। ফলে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ-নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। কেউ প্রার্থী হতে চাইলে সেটা তার ব্যক্তিগত এবং যদি তিনি বিএনপির লোক হয়ে থাকেন তাকে দল থেকে পদত্যাগ করতে হবে। কারণ দলের কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করার পূর্বে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে প্রায় সবাই একমত হয়েছেন। তারা মনে করছেন, সব নির্বাচনের ফলাফলই পূর্বনির্ধারিত এবং ইসির ভূমিকাও একই থাকবে। তাই শুধু শুধু নির্বাচনে গিয়ে এই সরকার ও ইসিকে বৈধতা দেওয়ার কোনো অর্থ হয় না।

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের পর ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য তো পরিষ্কার। উপজেলা নির্বাচন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কী হবে, সেটা তো বোঝাই যায়। তাহলে সে নির্বাচনে অংশ নিলেই কী আর না নিলেই কী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং জাতীয় সংসদের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি প্রণয়ন, ভবিষ্যতে ভোটাভুটির মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটি গঠন, আগামী মার্চে মেয়াদ শেষে দলের সপ্তম জাতীয় সম্মেলন আয়োজন এবং নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের লাভ-ক্ষতির মূল্যায়নসহ বিভিন্ন বিষয়টিকেই এই মুহূর্তে গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপির নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত