ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘নৈতিক পরাজয় ঢাকতে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব’

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৫৯  
আপডেট :
 ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:০৪

‘নৈতিক পরাজয় ঢাকতে আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব’

নৈতিক পরাজয় ঢাকতে ও জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতে আওয়ামী লীগ বিজয় উৎসব করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এ বিজয় উৎসবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে চায়। শনিবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৩তম জন্মবার্ষিকীতে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোট এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দলের কোনো টানাপোড়েন নেই। এ ব্যাপারে দলের বিরোধী পক্ষ থেকে যা বলা হচ্ছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরই পরাজয় হয়েছে। কীভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, তা দেশের মানুষ দেখেছে। এই ভোট ডাকাতির পর বিজয় উৎসব করা বা আনন্দ করার কোনো মানে হয় না। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৈতিক পরাজয় ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরাতে আওয়ামী লীগ এ বিজয় উৎসবের আয়োজন করেছে।’

এ মুহূর্তে বিএনপির করণীয় কী হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি কর্মসূচির মধ্যেই আছে। সাধারণ মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে। মানুষকেও তার জায়গা থেকে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপি এই জোচ্চুরি নির্বাচনের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করবে। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্ম নেওয়া জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ট্রাজেডির পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বিএনপি গঠন করেন। ১৯৮১ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জিয়ার মৃত্যুর পর বিএনপির হাল ধরেন তার স্ত্রী খালেদা জিয়া। দলকে ক্ষমতায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা বরাবর দিনটিতে জিয়া কবরে ফুল দিতে গেলেও দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিনি কারাগারে থাকায় শনিবার তাকে ছাড়াই জিয়ার সমাধিতে যান বিএনপি নেতারা। সকাল সাড়ে ১০টায় শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে ফুল দেওয়ার পর মোনাজাত করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতারা।

উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, শাহজাহান ওমর, রুহুল আলম চৌধুরী, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতাউর রহমান ঢালী, ফরহাদ হালিম ডোনার, একেএম আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুল হাবিব দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, শিরিন সুলতানা, কায়সার কামাল, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, দেওয়ান সালাহউদ্দিন, অধ্যক্ষ সোহরাবউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, আমিরুল ইসলাম আলিম, হারুনুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,

সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে ছিলেন আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, নবী উল্লাহ নবী, আনোয়ার হোসাইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক আহমেদ খান, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, শাহ নেসারুল হক, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান।

বিএনপি ছাড়াও মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, ড্যাব, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, শ্রমিক দল, ছাত্র দল, ওলামা দল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে ফুল দেওয়া হয়।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে জিয়ার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দুদিনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু করেছে বিএনপি।

দ্বিতীয় দিনে শনিবার সকাল ১১টা থেকে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প’ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষজনকে স্বাস্থ্য সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত