ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গুরু দায়িত্ব পাচ্ছেন তারা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৫  
আপডেট :
 ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৩৪

গুরু দায়িত্ব পাচ্ছেন তারা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় এবং পরবর্তীতে মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে চমক দেখিছে আওয়ামী লীগ। সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতাদের বাদ দিয়ে মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছে দলের অপেক্ষাকৃত তরুণরা, যদিও সামান্য কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। তবে মন্ত্রিপরিষদে বাদ পড়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত করা হচ্ছে।

দেশের চলমান রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ব্যাপকভাবে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনটি জাতীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তবে ১৯৯০-৯১ মেয়াদের পর আর ডাকসু নির্বাচন হয়নি। সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পর থেকেই টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।

আসন্ন ডাকসু নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এজন্য দলটির সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের প্যানেল গঠন ও নির্বাচনে ইতিবাচক ফল ঘরে তুলতে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্রনেতাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি বছর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ ও আমির হোসেন আমুর উচ্ছ্বল উপস্থিতি এবং তাদরেকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান ডাকসুর সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। সেদিন মধুর ক্যান্টিনসহ তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি বিজড়িত স্থানেও যান তিনি। মধুতে বসে ছাত্রনেতাদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেনি তিনি।

জানা যায়, একই দিন সন্ধ্যা রাতে গণভবনের দৃশ্যপটের লাইম লাইটে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগ নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় প্রধানমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে ডাকসুর ভিপি সম্বোধন করে পাশে ডাকেন। গণভবনে তোলা ওই সময়ের একটি ছবিতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ডানে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, তারপর তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ও ড. আব্দুর রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের ইতিবাচক ফলাফলের জন্য ছাত্র রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা অর্জন করা নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম প্রধান পছন্দ তোফায়েল আহমেদসহ কিছু সিনিয়র নেতা। যারা অতীতে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে বিজয়ী হয়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত