ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

এবার নাইটেঙ্গেল মোড়ে রিজভী!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:০৫

এবার নাইটেঙ্গেল মোড়ে রিজভী!

দীর্ঘ সময় রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়েই অবস্থান করছেন বিএনপির আলোচিত নেতা রুহুল কবির রিজভী। আর সেখান থেকেই পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মাঝেই ঢাকার কোনো একটি পয়েন্টে ঝটিকা মিছিল বের করেন তিনি।

তবে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আলোচনায় আসেন কাকডাকা ভোরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল বের করে। তবে কিছুদিন হল দলটির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে হঠাৎ করেই ঝটিকা মিছিল নিয়ে বের হচ্ছেন।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে ঝটিকা মিছিল বের করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। মিছিলটির নেতৃত্বও দেন তিনি। মিছিলটি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

দলের চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বেশকিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন রিজভী।

এসময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগের দিন পুলিশ দিয়ে জনগণের ভোট লুট করিয়ে এখন প্রধানমন্ত্রী তাদের পদক দিচ্ছেন। জাতি, জনগণ, গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটি শ্রেষ্ঠ তামাশা।

আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, দেশ এখন আদিম অন্ধকারে নিমজ্জিত। চারদিকে ভীতি ও শঙ্কা আসন গেড়ে বসেছে।

ভোট ডাকাতির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতেই খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি রাখা হয়েছে, এমন অভিযোগ করে রিজভী বলেন, দেশকে হাতের কব্জায় নিতেই মহাভোট ডাকাতির নির্বাচন করা হয়েছে। সে জন্যই খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে কয়েক মাস আগে মিথ্যা মামলায় আটক করে কারাগারে রাখা হয়েছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বের এ মিছিলে অংশ নেন- ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের গুটিকয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় মিছিল থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানও দেয়া হয়।

এক বছরেরও বেশিসময় ধরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি নেতা রিজভী। তিনি কার্যালয়ের বারান্দা থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে স্লোগান দিয়েছেন। বেশ কয়েকমাস আগে লিফলেট বিতরণ করতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কার্যালয়ের নিচে নেমেছিলেন। কিন্তু পুলিশ দেখার পর আবার দ্রুত কার্যালয়ের ভেতর ঢুকে পড়েন।

এরপর দলীয় কার্যালয়ের পাশে দুই দিন ঝটিকা মিছিল করার পর নগরীর কল্যাণপুর, গুলশান ও ধানমন্ডি এলাকায় পরপর তিন দিন মিছিল করেন রিজভী। এরপর দলীয় কার্যালয়ের আশপাশ ছাড়িয়ে হঠাৎ শ্যামলীর প্রধান সড়কে কালো পতাকা হাতে ঝটিকা মিছিল বের করেন রিজভী। তবে এবার তার মিছিলে পুলিশের নজর পড়ে যায়। অবস্থা বেগুতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন রিজভী।

গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় সচরাচর কার্যালয় ছাড়েন না বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। সূর্য উঠার আগে ও সাতসকালে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মিছিল করলেও রাজপথে তার অবস্থান করা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত