ডাকসু নির্বাচন: বিএনপি-ছাত্রদলে দ্বন্দ্ব!
কিরণ সেখ
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। দলটির ‘ভ্যানগার্ড খ্যাত’ এই ছাত্র সংগঠনটির নেতারা আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা ছাত্রদলকে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। যার ফলে ছাত্রদল ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ছাত্রদলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে ছাত্রদলের নেতারা নির্বাচনের না যাওয়ার পক্ষে তাদের মতামত দেন। নেতাদের মতামতের পরে বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির এক শীর্ষ ছাত্রদল নেতাদের বলেন, ম্যাডাম (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তোমরা ম্যাডামের নির্দেশ মানবে না। তার এই কথা পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদলের নেতারা বলেন, ওই চুপ কর! ম্যাডাম নির্দেশ দিয়েছেন তো আমাদের এখানে ডেকেছিস কেনো? ম্যাডাম বলেছেন, আমরা নির্বাচনে যাবো।
এদিকে বুধবার ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের স্থায়ী সমাধানের ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে গিয়েছিলেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে যাওয়া বর্জন করেছিলেন বলে সংগঠনটির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক সিনিয়র নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদল বর্জন করেছে। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামু হাসান তাদের সমর্থিত কয়েকজনকে নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে গিয়েছিলেন। এছাড়া ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি আল মেহেদী তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাসার সিদ্দিকীও ক্যাম্পাসের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়েছিলেন। কারণ মেহেদী ও বাসারকে বড় নেতা বানানোর প্রলোভন দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে ডাকসু নির্বাচনে হল ভিত্তিক প্যানেল দেওয়ার বিষয়েও মুশকিলে পড়েছে ছাত্রদল। কারণ প্যানেল দেওয়ার জন্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না সংগনটি- বলেও সূত্রটি জানায়।
জানতে চাইলে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, একটা দলের মধ্যে তো অনেক রকম মত থাকে। আর মতামত থাকতেই পারে। তবে আমরা বলেছি যে, দলীয় ফোরামে যে সিদ্ধান্ত হবে, আমরা সেটাই মেনে নেবো।
ডাকসু নির্বাচন আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ বছর পর দেশের দ্বিতীয় ‘পার্লামেন্ট খ্যাত’ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে।