ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

ফের সাতসকালে রাজপথে রিজভী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৩৪

ফের সাতসকালে রাজপথে রিজভী

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজেকে অনেকটা ‘বন্দী’ করে রাখা বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আবার সাতসকালে মিছিল করেছেন। দলের চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে তার নেতৃত্বে দলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সাতসকালে এবার মিছিল করেছেন রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে।

শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, দপ্তর সম্পাদক এ বি এম রাজ্জাক, কাফরুল থানা বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন জিল্লু, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলুসহ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী অংশ নেন।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করছেন রিজভী। গ্রেপ্তার হতে পারেন এমন আশঙ্কায় সচরাচর কার্যালয় ছাড়েন না তিনি।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দলীয় কার্যালয়ের বারান্দা থেকে স্লোগান দিয়েছেন রিজভী। মাঝে মাঝে দলীয় কার্যালয়ের সামনে লিফফেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তাকে দেখা যায়। তবে পুলিশ আসার আগেই তিনি আবারও কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।

এভাবেই সূর্য উঠার আগে ও সাতসকালে বেরিয়ে মাঝে মাঝে দলীয় কার্যালয়ের আশপাশ ছাড়িয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তার নেতৃত্বে মিছিল করে বিএনপি। এবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে মিছিল করল বিএনপি।

মিছিল শেষে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী বলেন, এদেশের কোটি কোটি জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রেখে অবৈধ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না।

অবিলম্বে খালেদার মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রীকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। একদলীয় নিষ্ঠুর শাসনের কষাঘাত থেকে দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করতে জনগণ এখন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’

রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ও আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে নির্দোষ খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখার উদ্দেশ্যই ছিল মধ্যরাতে নির্বাচন করা।

বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত