ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

কাউন্সিলে মোকাব্বির, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩২

কাউন্সিলে মোকাব্বির, নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ

দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়া গণফোরামের মোকাব্বির খান দলের বিশেষ কাউন্সিলে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শুরু হওয়া গণফোরামের এই কাউন্সিলের মঞ্চে ড. কামাল হোসেনের তিন আসন পর বসেন তিনি। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

মোকাব্বির খানের মঞ্চে বসা নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মোকাব্বির খানকে কাউন্সিলেন মঞ্চে দেখে দল ছাড়েন প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক।

বিশেষ কাউন্সিলের সভা শুরু হওয়ার পর দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে উঠেন ড. কামাল হোসেন। কামাল হোসেনের সঙ্গে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সাংসদ মোকাব্বির খানও মঞ্চে ছিলেন।

কয়েকজন বক্তার বক্তব্য শেষে প্রথম অধিবেশন শেষ হওয়ার পর গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক দল ছাড়ার কথা সাংবাদিকদের বলেন।

সভা থেকে বের হওয়ার পর মোকাব্বিরের মঞ্চে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি রফিকুল ইসলাম পথিক গণফোরামের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক। দলের সকল কর্মকাণ্ডে সব সময় সম্পৃক্ত ছিলাম।’

‘মোকাব্বির খান যখন শপথ নিতে যান তখন দলে দুই ধরনের মত ছিল। পরে বলা হয়েছে কার্যনির্বাহী সভায় যা সিদ্ধান্ত হবে তাই সভাই মেনে নিবে। কিন্ত ২০ তারিখের কার্যনির্বাহী সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে মোকব্বির খানকে শোকজ করা হবে, আজকে ২৬ তারিখ এখনও শোকজ করা হয়নি। আর আজকেরটা তো দেখেছেনই।’

এ সময় দল ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘মোকাব্বির খান ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে গেলে বলে গেট আউট, আর বাসায় গেলে বলে সংসদে যাও। এ ধরণের দৈথ নীতির যে আচরণ এই দলে আমি থাকবো না। এই আচরণে আমি ব্যথিত। এই দল আর আমি করবো না।’

অন্যদিকে নেতাকর্মীরাও মোকাব্বির খানের উদ্দেশে বলেন, তুই ওখানে বসে আছিস কেন? তোর তো ওখানে বসার জায়গা নয়। ড.কামালের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির কেউ কেউ।

সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন মোকাব্বির। এই দলেরই আরেক নেতা সুলতান মনসুর শপথ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। শপথ নেয়ার কারণে মোকাব্বির খানকেও বহিষ্কার করা হবে মাঝে এমন গুঞ্জন উঠলেও শেষ পর্যন্ত তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।

দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর ড. কামালের সঙ্গে মোকাব্বির দেখা করতে গেলে কামাল তার পিএসসহ কয়েকজনকে বলেন, ‘ওকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও। ফারদার (ভবিষ্যতে) যেন এখানে আর না দেখি।’

গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।

নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।

কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া গণফোরামের সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে এরই মধ্যে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। পরে শপথ নিয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেন মোকাব্বির। প্রথমবারের মতো বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে সিলেট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য অতি দ্রুত নতুন নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবি জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত