ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে ডাকুন: গয়েশ্বর

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ মে ২০১৯, ১৩:৫৯

প্রধানমন্ত্রীকে আদালতে ডাকুন: গয়েশ্বর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আদালতে ডাকার জন্য বিচারবিভাগ ও বিচারপতিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত এক নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সকল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভাইরাল হওয়া একটি ফোনালাপের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গিয়ে বলেছেন, ‘এই তারেককে বাড়াবাড়ি করতে মানা করবে, না হলে ওর মাকে আজীবনের জন্য জেলে রাখবো’ তারপর মানে, আইন ও আদালতের কারণে নয়- শেখ হাসিনার ইচ্ছায় বেগম জিয়াকে সারাজীবন কারাগারে থাকতে হবে।

এখন আমি যদি বলি, আদালতের হাত-পা বাধা এবং সরকারের কথার বাইরে আদালতে যেতে পারে না। তাহলে কাল আমাকে ডেকে বলবে, আপনি আদালত অবমাননা করেছেন। তবে আমি বিচারপতিদের প্রতি নিবেদন করবো, একজন কারাবন্দীকে আজীবন কারাগারে থাকতে হবে, এমন হুমকি যখন প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে দেন- তাকে কি একটু আদালতে এনে জিজ্ঞাস করতে পারেন, এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার আপনি কে?

আদালতের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, জিজ্ঞাস করতে পারেন? পারবেন না। বরং আগামীকাল আমাকে ডাকতে পারেন। ডেকে বলবেন, আপনি আবার প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এগুলো বলতে গেলেন কেনো? এই কারণে মাননীয় আদালতের কাছে অনুরোধ করবো, উনাকে ডাকেন। এই ডাকাটা মনে হয় জাতির কাছে জরুরি। আর ডেকে জিজ্ঞাস করুন, আমার কাজটা যদি আপনি করেন তাহলে এই চেয়ারে আমার থাকার দরকার কি?

গয়েশ্বর বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) প্রধানমন্ত্রী। কোন কিছু ব্যবস্থা না করে উনি দেশের বাইরে যাবেন- একথাটা বেমানান হয়ে যায় না? আর সেখানে উনার বোনের বাড়ি এবং ভাগ্নির বাড়ি আছে, যদি হোটেল বুকিং না দিয়ে থাকেন তাহলে তো উনি সরাসরি ওখানে উঠবেন। কিন্তু গাড়ি নিয়ে এই হোটেল ওই হোটেল ঘোরা কোন রকমই মানান সই না। কি কারণে এতো তাড়াহুড়া করে চলে গেলেন? আর কি কারণে বললেন, তারেক রহমান বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়া আজীবন জেলে থাকবেন?

বিএনপির এমপিদের শপথের বিষয়ে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্তই। সংসদে যাওয়া, সংসদে যাওয়া- শেষ। এখন আমাদেরকে দেখতে হবে, আমাদের এমপিরা সংসদে কতটুকু এক্সারসাইজ করতে পারে এবং কতটুকু তাদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের বক্তব্যে সরকার পক্ষ কতটুকু সহ্য করতে পারে এবং তাদের কথা বলার অধিকার কতটুকু প্রসারিত করতে পারেন, এটা দেখার ব্যাপার। এখন আমি চলে গেছি, এটা নিয়ে ভুল ও শুদ্ধের বিষয়ে কথা বলার কারণ নাই। আর সময়ই বলে দেবে, এই সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল কি ছিল না।

এসময় ইস্পাত কঠিন ঐক্য গেড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/ওয়াইএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত