ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার উদাসীন: ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০১৯, ২০:০৭

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার উদাসীন: ফখরুল

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরমভাবে উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যাশলয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

প্রায় দুই ঘন্টা এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন।

ফখরুল বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই এটা অবণতির দিকে যাচ্ছে এবং একের পর এক জেলা বন্যা কবলিত হচ্ছে। জনগনের দুর্ভোগ সেটা বেড়েই চলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেটা আমরা লক্ষ্য করছি না। সরকারের চরম উদাসীনতা এই বন্যার ব্যাপারে। তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি বলেন, সরকারের সাধারণ এরকম পরিস্থিতিতে যেরকম উদ্যোগ-সহায়তা নেয়ার কথা সেটা দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ত্রাণ মন্ত্রী কোথাও ঘুরে আসেননি। সরকারের পদক্ষেপগুলো মানুষ দেখতে চায়। আপনারা পত্রিকায় কি ছবি দেখছেন যে, কোনো মন্ত্রী এলাকাতে গেছেন বা বন্যা কবলিত এলাকায় হেলিকপ্টার মুভ করেছে। দেখেন নাই। অর্থাৎ সরকারের যে জনগনের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই সেটা বুঝা যায়। এখানে বিরোধী দলের তেমন কিছু করার নেই। তারা ত্রান কমিটি পাঠাতে পারে, সেখানে কিছু কিছু সাহায্য নিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব বন্যা কবলিত মানুষকে রক্ষা করা। যেটা সরকার করছে না।

বিএনপি মহাসচিব জানান, বৈঠকে দলের ২১ সদস্যের একটি ত্রান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর আহবায়ক করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সদস্য সচিব ত্রান বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীন। কমিটিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট জেলার নেতৃবৃন্দও থাকবে। এই ত্রান কমিটি অবিলম্বে তাদের কর্মকান্ড শুরু করবেন।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, দেশে আজকে ক্রমাগত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনগনের নিরাপত্তা ও দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যেন মনে হচ্ছে দেশে একটা এনার্কি চলছে। আদালতের ভেতরে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ছোট্ট শিশুর মাথা কেটে ফেলা হচ্ছে, প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হচ্ছে এবং তার পরবর্তিতে যে ঘটনাগুলো ঘটছে যেমন, একজন প্রধান আসামী (০০৭ নয়ন বন্ড) তাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হলো। দেখা গেলো সেই মামলার যে বাদী ( আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি) তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হলো এবং তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে। পুরো বিষয়গুলো দেখা যায় যে, এখানে একটা এনার্কি নৈরাজ্য বুঝা যায় যে, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এবং বিচার বিভাগে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সাহেবকে অজ্ঞাত সুব্রত বাইন পরিচয় দিয়ে গুম করার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো কিন্তু অহরহ ঘটছে। অনেক মানুষই ভিকটিম হচ্ছেন বি্শেষ করে তুলে নিয়ে যাওয়া- এটা তো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

ফখরুর বলেন, ডেঙ্গু এখন ভয়াবহ মহামারী আকার ধারণ করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন যে, তিনি ডেঙ্গুর ভয়ে অফিসে যাচ্ছে না, মশা কামড়াতে পারে। একবার তার ডেঙ্গু হয়ে গেছে। অথচ একজন মেয়র বলেছেন যে, এখন পর্যন্ত নাকী কিছুই হয় নাই। এখন পর্যন্ত ২১ জন মারা গেছেন, কয়েক হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। সবাই এখন দিনের বেলায় শিশুদের মশারীর নিচে রাখছেন …., বড়রা মোছা পরে থাকেন-কখন এডিস মশা কামড় দেবে সেই ভয়ে। সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ নাই। আমি নিজে উত্তরায় থাকি এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি-এটাই বাস্তবতা বলছি।

বৈঠকে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত