ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

মনোস্টার সরাতে ঐক্যের বিকল্প নেই: ফখরুল

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২০:৪৪  
আপডেট :
 ২৫ আগস্ট ২০১৯, ২০:৫২

মনোস্টার সরাতে ঐক্যের বিকল্প নেই: ফখরুল

মনোস্টার দানবকে ‘সরকার’ সরাতে সংগ্রাম ও ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (২৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্যারিস্টার সালাম তালুকদার স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আবদুস সালাম তালুকদারের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংগ্রাম ও ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আজকে গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়েই এই যে মনোস্টার দানবকে সরাতে হবে। তা না হলে একাত্তর সালে যে চেতনা নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেই চেতনা ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আজকে সারাদেশে তারা (সরকার) একটা লুটের রাজত্ব কায়েম করেছে। যেখানেই যাবেন সেখানেই দেখবেন আওয়ামী লীগের লোকেরা লুটপাট ছাড়া আর কোনো কিছু করছে না। যার ফলে আজকে সমস্ত কিছু ভেঙ্গে পড়েছে, শাসন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। আজকে দুঃশাসন সমগ্র দেশে। একটা অসহ্য, অস্বাভাবিক দুঃসহনীয় পরিবেশ বিরাজ করছে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এই সরকার খুব সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে। শুধু গণতন্ত্র নয় রাজনীতিকেই ধ্বংস করছে। ১/১১ তে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত হয়েছিলো বিরাজনীতিকরণের সেই ধারাই এখন চলছে। পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে তাদের প্রতিপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করে তাদের একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠা করা। তাই দেশে বিচার ব্যবস্থা বলতে কিছু নাই, এদেশে এখন আইনের শাসন বলতে কিছু নেই, এদেশে এখন ন্যায়-নীতি কোনো কিছুই নেই। এখন শুধু একদল একনীতি একটাই প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

বর্তমান সরকার সর্বত্রভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘বিএনপি একটি খুনীর দল’ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এ বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনি ভুলে গেছেন যে, উনারা ১৯৭২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই খুন শুরু করেছিলেন। সেদিনও তারা রক্ষীবাহিনী তৈরি করে তাদের কর্মী-নেতারা বিরোধী দল যারা করতেন তাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন করেছে। সেদিন সিরাজ শিকদারকে খুন করা হয়েছিলো, এরকম অসংখ্য নেতা-কর্মী-সাধারণ মানুষ হত্যা করা হয়েছিলো। আর বিএনপি কিন্তু খুনের সাথে সম্পৃক্ত নয়, বিএনপি কখনো খুনের দায়ে পড়ে নাই। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে খুন করেছে, গুম করেছে, নির্যাতন করেছে, নিপীড়ন করেছে, গণতান্ত্রিক সমস্ত পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে, এখানে গণতান্ত্রিক স্পেস বলতে আর কিছু তারা রাখেনি।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য শামসুজ্জামান মেহেদীর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত