ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সংগঠনকে ক্যাম্পাস আন্দোলনমুখী করতে চাই: জুয়েল

  কিরণ সেখ

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৬

‘সংগঠনকে ক্যাম্পাস আন্দোলনমুখী করতে চাই’

দীর্ঘ ২৭ বছর পর প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল শীর্ষ নেতৃত্ব বেছে নেবে।

সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ছাত্রদলের পঞ্চম কাউন্সিলে সরাসরি ভোটে বিএনপির বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও গুম হওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাইফ মাহমুদ জুয়েল হাওলাদার। তিনি ভোটের জন্য ছুটছেন সারাদেশের ১১৭টি সাংগঠনিক ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলরদের কাছে।

সাইফ মাহমুদ জুয়েলের সঙ্গে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের। তিনি জানান বর্তমানে কক্সবাজার কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলছেন। শুধু ভোটের বিষয়ে নয়, এসময় সাংগঠনিক, নেতাকর্মীদের পরিবার এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয় নিয়েও কথা বলেন বলে জানান জুয়েল।

পরিবার থেকে জাতীয়তাবাদের আদর্শের শিক্ষা পেয়েছেন জানিয়ে জুয়েল জানান, স্কুল জীবন থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তিনি। আর এইচএসসি প্রথম বর্ষে ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই সময় থেকেই ছাত্রদলের মিছিলে স্লোগানের নেতৃত্ব দিতেন তিনি। এরপর ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ওই সময় থেকেই ঢাবি ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত হন। আর ২০১৬ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। বর্তমান জুয়েল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্টার্স করছেন।

নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের বিষয়ে সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ছাত্রদলকে কর্মী বান্ধব ও আর্দশিক ছাত্র সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আর উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা, এটা ছাত্রদলের মূলমন্ত্র। আর উৎপাদনমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা একটা সংগঠনকে এগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু ছাত্রদলের বর্তমান বড় চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্র ও বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। সেই লক্ষ্যে স্বতন্ত্র কর্মসূচির মাধ্যমে আমাদের দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার চেষ্টা করবো। আর যদি আমি পরাজিত হই তাহলে যারা নির্বাচিত হবে তাদের পাশে থেকে এবং তাদের পরামর্শে দেশনেত্রী ও গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলনকে আরো বেগবান করার চেষ্টা করবো।

ভোটের বিষয়ে ছাত্রদলের এই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বলেন, ছাত্রদলের নির্বাচনে আভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক গণতন্ত্রের ব্যবস্থায় আমাদের যে নেতৃত্ব, সেটা স্পষ্ট করার চেষ্টা করবো এবং জনগণকে এখানে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবো।

জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জুয়েল বলেন, ছাত্রদেরকেই নিয়ে ছাত্রদল গঠন করা উচিত। আর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিন্তা-চেতনার সাথে মিল রেখে এবং উনা’র দিক-নির্দেশনা অনুযায়ি সারাদেশে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলকে নতুনভাবে পুনরায় গড়ে তুলতে চাই। আর সংগঠনকে নতুন জীবন দিতে চাই।

মূলত যে ছাত্র সংগঠন হবে ক্যাম্পাস ও আন্দোলনমুখী। তারা ক্যাম্পাসে তাদের ন্যায্য দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করবে এবং সময় হলে ক্যাম্পাস থেকে রাজপথে আসবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নতুন নেতা নির্বাচন করবেন।

সভাপতি পদে লড়ছেন, কাজী রওনকুল ইসলাম, মো. ফজলুর রহমান, মোহাম্মদ মামুন বিল্লাহ(ওরফে মামুন খান), মাহমুদুল হাসান, হাফিজুর রহমান, রিয়াদ মো. তানভীর রেজা, মো. এরশাদ খান, এস এম সাজিদ হাসান ও এ বি এম মাহমুদ আলম সরদার।

সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন, মো. জুয়েল হাওলাদার, মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. কারিমুল হাই, মাজেদুল ইসলাম, ডালিয়া রহমান, মো. আমিনুর রহমান, শেখ আবু তাহের, শাহ নাওয়াজ, সাদিকুর রহমান, কে এম সাখাওয়াত হোসাইন, সিরাজুল ইসলাম, মো. ইকবাল হোসেন, মো. হাসান, মুন্সি আনিসুর রহমান, মো. মিজানুর রহমান, শেখ মো. মশিউর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, সোহেল রানা ও কাজী মাজহারুল ইসলাম।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত