ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘রাব্বানীই ডুবিয়েছে শোভনকে’

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:২৪

‘রাব্বানীই ডুবিয়েছে শোভনকে’

সাম্প্রতিক বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ছাত্রলীগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তার বাবা নূরুন্নবী চৌধুরী।

তিনি বলেন, জাবির ভিসির সঙ্গে কথা বলার সময় রাব্বানী যেহেতু একটি প্রস্তাব দিয়েছিল, তাই শোভন উপস্থিত থাকায় হয়তো তার নামও চলে এসেছে, কিন্তু রাব্বানী নিজেই বলেছে শোভন কিছু জানে না

রোববার গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।

নূরুন্নবী চৌধুরী বলেন, আমি আমার ছেলেকে চিনি, সে এ ধরনের কাজ করতে পারে না। আসলে ও একটু বোকা ছেলে, আগে থেকেই সহজ-সরল। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অনেকটা অতিরঞ্জিত, সাজানো ব্যাপার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে আসলে সে কিছুই জানে না। সেখানে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেন সেখানকার পরিস্থিতি ঠিক হয়। আমার ছেলেকে আমি তো জানি। এ ধরনের নৈতিক স্খলন বলতে, এই যে আর্থিক বিষয়গুলো উঠে এসেছে, শোভনের দ্বারা আসলে এগুলো সম্ভব না। সে পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। এগুলোতে শোভন জড়িত নয়। হয়তো সে সাথে গিয়েছে বলে তার নাম এসেছে।

শোভনকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন, জানতে চাইলে শোভনের বাবা ও আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, এখানে আক্ষেপের কিছুই নাই।

নেত্রী ভালো মনে করেছিলেন দায়িত্ব দিয়েছিলেন, পদে বসিয়েছেন। নেত্রী ভালো মনে করছেন যে এদেরকে দিয়ে আর ভালো চলবে না, এদেরকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, এরা পদত্যাগ করেছে।

প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের ৪-৬ পারসেন্ট চাঁদা দাবি করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ৮ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সঙ্গে তার বাসভবনে দেখা করে এই চাঁদা চান দুই নেতা।

এ বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘সেদিন তারা (শোভন ও রাব্বানী) আমাকে বলে, এত বড় প্রকল্প, আপনি আমাদের সহযোগিতা করেন, আমরাও আপনাকে সহযোগিতা করব। আপনি কোম্পানিগুলোকে বলে দেন তারা যেন আমাদের কিছু (পার্সেন্ট) টাকা দেয়।

আমাদের টাকা দিলে আমরা স্থানীয় (জাবি) ছাত্রলীগকে তা থেকে কিছু দিয়ে দেব। কিন্তু আমি তাদের কথায় রাজি হইনি এবং মুখের ওপরে বলে দিয়েছি আমি কোনো টাকা-পয়সার মধ্যে নেই। তখন তারা আমাকে বলল, আপা (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের সব বিশ্ববিদ্যালয় দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন।

‘সেজন্য আপনার কাছে এসেছি। তখনও তাদের কথায় সাড়া না দেয়ায় তারা আমার সঙ্গে বেশ উচ্চৈঃস্বরে কথা বলা শুরু করে। এর কিছু সময় পর তারা চলে যায়।’ তারা কত পার্সেন্ট দাবি করেছিল- এমন প্রশ্নে ভিসি বলেন, ‘দু-এক পার্সেন্ট না, তারা চার কিংবা ছয় পার্সেন্টের কথা বলেছিল।’

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত