ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে যা বললেন জয়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১২  
আপডেট :
 ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:১৯

শোভন-রাব্বানীকে নিয়ে যা বললেন জয়

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে নতুন দায়িত্ব পাওয়া ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে তারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন নাহিয়ান ও লেখক।

এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি অসীম কুমার বৈদ্য, সরকার রায়হান জহির, সাংগঠনিক সম্পাদক বাধন, তাহসান আহমেদ রাসেল, বেনজীর হোসেন নিশি প্রমুখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে ছিলেন সভাপতি সনজিত ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন।

পরে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের দায়ে সমালোচনার মুখে থাকা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে জয় বলেন, ‘ব্যক্তি হতে পারে কিন্তু ছাত্রলীগ কখনো আদর্শচ্যুত হতে পারে না। কোনো নেতার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় সংগঠন নেবে না।’

তিনি জানান, অসমাপ্ত ও মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটিগুলো দিয়ে সম্মেলনের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাদের ফাঁস হওয়া ফোনালাপের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা মাত্র আজকে দায়িত্ব নিয়েছি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে। তো আমরা চা‌ইবো যে, যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু তদন্ত। বিভিন্ন বিষয় থাকে, অনেক জায়গায় খোঁজ-খবর নিতে হয় আমাদের, নেতা বানাতে গেলে। তো আমরা এই খবরটা নিয়ে অন্তত আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবো, বিভিন্ন হল কমিটির বিষয়ে।’

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতার কারণে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সভায় তিনি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর আ’লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে অব্যহতি দেয়া হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিবাহিত, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, চাকরিজীবীসহ বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা, কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এই দুজনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেরিতে যাওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সম্মেলনের আড়াই মাস পর গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর পর দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত