ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

শোকজ করা হয়েছিল সম্রাট-খালেদকে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:১২  
আপডেট :
 ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৩:১৪

শোকজ করা হয়েছিল সম্রাট-খালেদকে

নানা সমালোচনার পর যুবলীগের বিতর্কিত ও চাঁদাবাজ নেতাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার হেফাজতে একটি অবৈধ অস্ত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তার কাছে লাইসেন্সের মেয়াদোত্তীর্ণ আরও দুটি অস্ত্র ও মাদক পাওয়া যায়।

খালেদ মাহমুদ গ্রেপ্তার হওয়ার পর বুধবার মধ্যরাতে হাজারো নেতা-কর্মী নিয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে অবস্থান করেন যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।

জানা যায়, ওমর ফারুক চৌধুরী ও হারুনুর রশীদের নেতৃত্বাধীন কমিটির সাত বছর মেয়াদে ২০ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে আওয়ামী যুবলীগের নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি পত্রপত্রিকার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই দফা শোকজ করা হয়েছিল সংগঠনটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। সংগঠনটির একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, প্রতিটি বিভাগের জন্য যুবলীগের আলাদা আলাদা ৯টি নিজস্ব ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এসব ট্রাইব্যুনালের প্রধান থাকেন সংগঠনটির এমন একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য, যিনি বিগত কমিটিতে ওই বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ ছাড়া সংগঠনের চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দফতর সম্পাদক মিলিয়ে ২০ জনের মতো সদস্য থাকেন প্রতি ট্রাইব্যুনালে।

সংগঠনটির ওই নেতা জানান, বর্তমান কমিটির মেয়াদে বিভিন্ন অভিযোগে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ ২০ নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংগঠনটির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাযনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের উদ্বৃতি দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ দেখে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে দুই দফায় ওই দুই নেতাকে (সম্রাট-খালেদ) শোকজ করা হয়।

ওই নেতা আরও বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে প্রথমবার শোকজের চিঠি পাঠানোর পর জবাব মনঃপূত না হওয়ায় সম্প্রতি দ্বিতীয়বার শোকজের চিঠি পাঠানো হয়। এই চিঠির জবাব নিয়ে আগামী শনিবার তাদের সরাসরি ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল।

‘ক্যাসিনোর বিষয়টি জানার জন্য আমরা নতুন করে শোকজ দিয়েছি। এই বিষয়গুলো আসার পরই আমরা ট্রাইব্যুনালে তাদের মুখোমুখি করবো সত্যতা জানার জন্য। এটা আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করে নাই, পত্রিকার ভাষা অনুযায়ী আমরা শোকজ করেছি’, -বলেন যুবলীগ সভাপতি।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত