ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

হাসিনা-মোদীর চুক্তিতে ভরসা নেই গণফোরামের

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ২২:২৯

হাসিনা-মোদীর চুক্তিতে ভরসা নেই গণফোরামের

নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারত সাতটি চুক্তি সইয়ে উপরে কোন ভরসা নেই বলে মন্তব্য করেছে গণফোরাম।

শনিবার রাতে রাজধানীর বেইলী রোডে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রেজা কিবরিয়া।

রেজা কিবরিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের ওপর আমাদের যেমন ভরসা নেই তেমনি দেশের মানুষেরও কোনো ভরসা নাই। দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করার মতো এই সরকারের দক্ষতা আছে কি না বা ইচ্ছা আছে কি না, সেটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সেদেশের সঙ্গে করা চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, চুক্তির পুরো বিষয়টা আমাদের জানা নেই। পানি বন্টনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো না জেনে বলা যাবে না। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। সাধারণভাবে বলতে চাই, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। আর দেশের মাটিতে তারা যেমন ব্যর্থ, পররাষ্ট্রনীতিতেও তাদের ব্যর্থতা দেখা যায়।

আপনি বলেছেন যে শিগগিরই দেশে আর একটা নির্বাচন হবে, এই কথা কিসের ভিত্তিতে বললেন- এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, মূলত ওভাবে আমি বলিনি। এই সরকারের প্রত্যেক খাতে যে ব্যর্থতা তাতে মোটামুটিভাবে রাষ্ট্র কলাপস্ এর মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। ব্যাংকিং খাত, বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে তারা হিমশিম খায়, তারা শুধু মানুষের কাছে সঞ্চয়পত্র বিক্রয় করছে। ব্যাংকের অবস্থাতো সবাই জানেন। তারা প্রত্যেক ক্ষেত্রে যে ফেইল করছে, সেটা দেশের মানুষ আগে টের পায়নি, এখন তারা বুঝে গেছে যে এরা অদক্ষ এবং ব্যর্থ। আমার ধারণা যে হয়তো কোনো আন্দোলনের জন্য না, তাদের ব্যর্থতার জন্য তারাই ক্ষমতা ছেড়ে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে মানুষকে সন্তষ্ট করতে চেষ্টা করবে। আমার এখনও ধারণা সেটা খুব তাড়াতাড়ি হবে। কিন্তু যেভাবে বলা হয়েছে ঠিক সেভাবে আমি বলিনি। তবে আমার ধারণা এটা হতেই হবে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করে শক্তিমান সরকার, যে সরকারের জনসমর্থন আছে সেই সরকার বাংলাদেশে একদিন হবে। তাতে বেশি দেরি হবে না।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বর্তমান অবস্থা কি, নির্বাচনের আগে যেভাবে ঐক্যফ্রন্ট এক হয়েছিলো ভবিষ্যতেও সেরকম ঐক্যবদ্ধ কোনো আন্দোলন হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক আর একজন ছিলেন। উনি ওনার মতো কাজ করেছেন। আমি আমার মতো করছি। ঠিক আগের মতো তো হবে না। আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখনও বলতে পারবো না। তবে এখন পর্যন্ত আমরা সবাই একই পথে আছি। এই ব্যর্থ সরকারকে সরানোর ব্যাপারে আমাদের কারো দ্বিমত নেই।

ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ৩০ ডিসেম্বরের সমাবেশের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানতে চাইলে গণফোরাম সম্পাদক বলেন, সেটা অনেক বড় আকারে হবে। তবে তার আগে অনেক কিছু ঘটতে পারে। হয়তো এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা যা প্লান করি, আর আল্লাহ কি চান সেটা দেখাতে পারবো না। সুতরাং সেটার অনেক সময় আছে। সেটা নিয়ে এখন কিছু ভাবছি না।

এরআগে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দলের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়াম বৈঠক হয়। বৈঠকে নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, অ্যাডভোকেট মোহসিন রশীদ, মোকাব্বির খান এমপি, জগলুল হায়দার আফ্রিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ও মেজর (অব.) আমিন আফসারি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে/কেএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত