ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যুবলীগ থেকে বহিষ্কার কাউন্সিলর রাজীব

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:০৮

যুবলীগ থেকে বহিষ্কার কাউন্সিলর রাজীব

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করার পর যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে যুবলীগ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর যুবলীগ থেকে সিদ্ধান্ত আসে যে, চলমান অভিযানে যারাই গ্রেফতার হবে তাদেরকেই সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হবে। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই রাজীবকেও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাউন্সিলর রাজীবকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, ৭ বোতল বিদেশী মদ ও ৩৩ হাজার নগদ টাকা জব্দ করা হয়।

জানা যায়, আগে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাজীব চলাফেরা করতেন। এখন কোটি টাকা দামের বিলাসবহুল গাড়িতে চড়েন। নতুন নতুন ব্র্যান্ডের গাড়ি কেনার নেশা রয়েছে তার। যেখানেই যান, তার গাড়িবহরের সামনে-পেছনে থাকে শতাধিক সহযোগীর একটি দল। এসব কারণে মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজীব যুবরাজ হিসেবেই পরিচিত।

২০১৪ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পরই যুবলীগের এই নেতার অবস্থা বদলে যেতে থাকে। এই কয়েক বছরে তিনি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন বলে জানা গেছে। জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। রাজীবের সব অপকর্মের সঙ্গী যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবন, সিএনজি কামাল, আশিকুজ্জামান রনি, ফারুক ও রাজীবের স্ত্রীর বড় ভাই ইমতিহান হোসেন ইমতিসহ অর্ধশত ক্যাডার।

জানা গেছে, কাউন্সিলর হওয়ার পর রাজীবের লোকজন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা পাইন আহমেদকে মারধর করে। ঘটনাটি প্রধানমন্ত্রী জানার পর মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় রাজীবকে। কিন্তু পরে তার বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এমনকি তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, সদ্য বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমানের মাধ্যমে এক কোটি টাকা দিয়ে পদটি নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকেই খুব বেশি দেখা যায় না রাজীবকে। গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান।

এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরমধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীমসহ অনেকের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাসি করে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন ক্যাসিনোয় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়োদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেডআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত