দলে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন তারেক: খসরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:২৯
তারেক রহমান দলের মধ্যে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে' এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশে দলীয় রাজনীতিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। যা ইতিহাসে লেখা থাকবে।
তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা অত্যন্ত উঁচুমানের। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও বিএনপিতে আগে থেকেই এটা ছিল। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া। এটা তারেক রহমান করেছেন। এটাকে দলের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়াটা ইতিহাসে লেখা থাকবে। তাকে ধন্যবাদ। তিনি কোনো আপোস করেন না। প্রত্যেক অঙ্গ সংগঠনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতিদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলছেন। বিদেশে থেকে এ কাজ করা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু তিনি সেটা করছেন। তাকে ধন্যবাদ।
খসরু বলেন, বিএনপির কাউকে মারার দরকার হয় না। বিএনপি সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপি এমনিতেই অনেক এগিয়ে আছে। তাদের কাউকে হত্যা করে ক্ষমতায় যাওয়ার দরকার নেই। বিএনপির ওপর মানুষের আস্থা আছে। কিন্তু যেই দল মানুষ মেরে ক্ষমতায় যায় যাদের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নেই।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাবেক এই বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে। গত দশ বছর আগে যা ছিল তাও কমেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের প্রকৃত আয়কে আরো কমিয়ে দিচ্ছে। জীবনযাত্রার মান কমেছে। কিন্তু জনগণ কথা বলছে না। মিডিয়া লিখতে ও বলতে পারে না। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
কেএস
