‘সরকার জাতির অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে’

সরকার বাংলাদেশ এবং জাতির সমস্ত অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানাদ: রিজভী 

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা আজকে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারবিহীন একটা অবস্থায় বসবাস করছি। আজকে যখন আমাদের নেত্রী কারাগারে, আমাদের নেতাকর্মীরা কারাগারে, এদিকে এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সকল গণতান্ত্রিক দলগুলোকে স্তব্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করছে। তাই আমাদের সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নামতে হবে। আজকের এই দিনে বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আমাদের সংগ্রামের আরো গতি বাড়াবো। ইনশাআল্লাহ জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করবো।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। দেশের যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, যারা দেশ গঠন করবেন তাদেরকে নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল পাক হানাদার বাহিনীরা। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টার পরেও ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার সহধর্মিনী, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী হয়েছিলেন, তাকে (বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া) আজ কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই দেশকে এই অগণতান্ত্রিক সরকার খান খান করে দিয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এনআরসির বিষয় নিয়ে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, এই বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এনআরসি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করছি। আজকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও উদারপন্থী রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস করা হচ্ছে।’

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএস/কেআই