ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সবচেয়ে সুন্দর ও ভয়ংকর সাপ বুমস্লাং

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২২, ২১:৫১  
আপডেট :
 ২২ জুন ২০২২, ২২:০০

সবচেয়ে সুন্দর ও ভয়ংকর সাপ বুমস্লাং

সবচেয়ে ভয়ংকর সাপের মধ্যে অন্যতম বুমস্লাং। এই সাপকে বেশির ভাগ গাছে গাছে জড়িয়ে থাকতে দেখ যায়। ফলে এই সাপকে আফ্রিকায় ট্রি স্নেক বলা হয়ে থাকে। আফ্রিকান এবং ডাচ ভাষায় বুম (Boom) শব্দের অর্থ গাছ। এ কারণে এ জাতীয় সাপের নাম বুমস্লাং(Boomslang) করা হয়। এ সাপ গাছে বাস করে তবে রোদ পোহানোর জন্য এরা ভূমিতে নেমে আসে।

সচরাচর এ প্রজাতির সাপ বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। আমাদের দেশের আবহাওয়া এই সাপের বসবাসের জন্য অনূকুল নয়। বুমস্লাং প্রাপ্ত বয়স্ক এবং প্রজনন এর জন্য উপযুক্ত হতে ২-৩ বছর সময় লাগে থাকে। ভয়ংকর এই সাপ বাঁচে থাকতে পারে ৮ বছর।

অপরূপ সুন্দর এর গায়ের রঙ। পুরুষ সাপ গুলো সাধারণত হালকা সবুজ রঙের হয়ে থাকে। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কালো বর্ণেরও হয়ে থাকে। আবার প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলা সাপ গুলো বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। এ সাপের চোখ বড় হয় এবংমাথা সাধারণত ডিম্বাকৃতি হয়ে থাকে। এই সাপের রঙ পরিবর্তনশীল। বুমস্লা শরীর এবং চোখের রঙ প্রায়ই পরিবর্তন করে ফেলে।

এই সাপ দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক তেমনি ভয়ংকর এই সাপ। গাছের সাথে এমন ভাবে মিশে থাকে খালি চোখে প্রথমে দেখলে বুঝে ওঠা যায়না। এই সাপ যখন যেই পরিবেশ এ থাকে তখন সেই পরিবেশের মত করেই তার ছদ্মবেশ ধারন করে থকে। মূলত শিকার ধরার জন্যই এই টেকনিক অবলম্বন করে থাকে বুমস্লা।

এ সাপ অত্যান্ত বিষাক্ত। এর বিষধর দাঁতে রয়েছে মারাত্মক বিষ। যা বেশ শক্তিশালী । এই সাপ ছোবল দিলে শরীরে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। এই সাপ এতটাই ভয়ংকর যে যদি এর বাচ্চা কামড়া দেয়, তাহলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের চোখ, কিডনি,হার্্ ফুসফুস, এবং মস্তিষ্ক থেকে রক্তপাত শুরু হয়।

বুমস্লাং সাধারণত ভিতু প্রকৃতির একটি সাপ। মূলত নিজেকে রক্ষা করতে গিয়েই এই সাপ ছবল মেরে থাকে। যখন কেউ সাপটিকে ধরতে অথবা হত্যা করতে চেস্টা করে তখনি বুমস্লাং তার ভয়ংকর রূপ প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত