ভাস্কর্য নয়, যেন বাস্তব!
ফিচার ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৩১
ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে। অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা সহ ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। ভারত, বাংলাদেশ এবং চীনের ন্যায় বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়।
রেনেসাঁ এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। পুতুল, মুখোশ, মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ। কিন্তু প্রায় চার শ বছর পূর্বে তুরস্কে ইসলামপন্থী দলের বিধি-নিষেধের কবলে পড়ে সেখানে ভাস্কর্য শিল্পকলার তেমন উন্মেষ ঘটেনি।
আজ পরিচিত হবো এমন কিছু ভাস্কর্যের সাথে যা দেখতে প্রথম দেখাতে যে কেউ ভাববে এ যেন বাস্তব কিছু। অস্ট্রেলিয়ার ভাস্কর রন মিউয়িকের কাজ দেখে দর্শকরা প্রথমে চমকে ওঠেন। কারণ, তার গড়া ভাস্কর্য আর বাস্তবের মধ্যে যে খুব একটা অমিল নেই।
সৈকতে আয়েশ
ভাস্কর্যটি মিউজিয়ামে না রেখে যদি সমুদ্র সৈকতে রাখা হতো তাহলে অনেক পাঠকই হয়তো বুঝতে পারতেন না যে, এরা আসল দম্পতি নন। অস্ট্রেলিয়ার ভাস্কর রন মিউয়িকের কাজ এটি।
আত্মপ্রতিকৃতি
এটি রন মিউয়িকের আত্মপ্রতিকৃতি৷ ১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ায় এক জার্মান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার মা-বাবা খেলনা তৈরি করতেন। অল্প বয়সে পরিবারের সঙ্গে ব্রিটেনে পাড়ি জমান মিউয়িক। এক সময় টেলিভিশনে শিশুদের জন্য কাজ করেছেন। টিভি, চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপন জগতের জন্য মডেলও বানিয়েছেন। ফ্যান্টাসি ফিল্ম ‘ল্যাবেরিন্থ’-এর স্পেশাল ইফেক্টও তার তৈরি।
দুই নারী
২০০৫ সালে ‘টু ওমেন’ নামের এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেন মিউয়িক।
পানিতে ভেসে আছে
সুইমিংপুলে এভাবে ভেসে আরাম করা কিংবা রোদ পোহানোর খুব পরিচিত দৃশ্য এটি। ‘ড্রিফট’ নামের এই শিল্পকর্মের কাজ ২০০৯ সালে শেষ করেন রন মিউয়িক।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে