বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন চীন (ছবিসহ)
ফিচার ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:০৭ আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:৫২
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অনেক দেশ এবং এয়ারলাইন চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফ্লাইট।
ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ ফেব্রুয়ারিতে চীনে সব ধরনের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।
মিশর, কেনিয়া ও কাতারসহ কয়েকটি দেশ বাড়তি ব্যবস্থা হিসেবে চীনের সঙ্গে বিমান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
ইতালি ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল শুধু চীনা নাগরিকদের নয় বরং চীন ভ্রমণ করা বিদেশিদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না।
চীনা বা চীনে বসবাস করা ব্যক্তিদের জন্য ফ্রি ভিসা বা অন এরাইভাল ভিসা দেয়া কয়েকটি দেশ সাময়িকভাবে এই ব্যবস্থা বন্ধ রাখছে।
এরমধ্যে অন্যতম মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়া।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ভারত ও সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশ চীনা নাগরিকদের বা চীনে বসবাস করেন এমন ব্যক্তিদের বর্তমান ভিসাও বাতিল করেছে।
হংকং ও তাইওয়ান
চীনের মূলখণ্ড হুবেই প্রদেশ থেকে লোকজনকে হংকংয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় প্রশাসন মূলভূখণ্ড থেকে প্রবেশে আরো কড়াকড়ি আরোপের ব্যবস্থার অনুমতিও চেয়েছে। তাইওয়ানও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এখনো কয়েকটি দেশ চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেনি। যদিও আগের তুলনায় তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমে গেছে।
নিউ জিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান এ দলে রয়েছে।
ব্যতিক্রমী পাকিস্তান
অন্যান্য দেশের মত পাকিস্তানও চীনের উহান (এই নগরীতেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়) এবং হুবেই প্রদেশে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে।
কিন্তু দেশটি তাদের অন্যতম মিত্র দেশ চীনের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে।
যদিও উহানে অবস্থান করা নাগরিকদের দেশে ফেরাতে রাজি না।
অন্যদিকে বিদেশে থাকা অনেক চীনা নাগরিক পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করতে দেশে ফিরেছিলেন।
নববর্ষ উৎসবের মধ্যই করোনাভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় রাশিয়া, ভিয়েতনামসহ আরো কয়েকটি দেশ এখন তাদের ফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ নাগরিকদের আপাতত চীন ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশের কড়াকড়িতে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি চীনের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এখনই এত কড়াকড়ি আরোপের কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে