করোনাভাইরাস: মোবাইল বিক্রি কমেছে ১৪ শতাংশ
তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৭:০২
করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে স্মার্টফোনের বিক্রি কমেছে ১৪ শতাংশ। কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে বিশ্বের অনেক অঞ্চলে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় স্মার্টফোনের বিক্রি আরও কমতে পারে।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ফেব্রুয়ারি মাসে চীনে বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ রেখেছিলো অ্যাপলসহ অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
সরকারি তথ্যানুসারে ফেব্রুয়ারি মাসে চীনের মূল ভূখন্ডে পাঁচ লাখের কম আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল।
চীনে এক বছর আগের চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে স্মার্টফোনের বিক্রি কমেছে ৩৮ শতাংশ। মার্চ মাসের মাঝামাঝি বেশ কিছু বিক্রয় কেন্দ্র পুনরায় চালু হতে শুরু করায় স্মার্টফোনের বিক্রিও স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
কাউন্টারপয়েন্টের জেষ্ঠ্য বিশ্লেষক জিন পার্ক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াতেও বিক্রি স্বাভাবিক হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ‘পরিস্থিতি এখনও সবচেয়ে বাজে অবস্থার দিকেই যাচ্ছে।’
আরো অনেক দেশ অবরুদ্ধ করায় সরবরাহ চেইনের জটিলতায় পড়েছে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ জার্নালে আরো পড়তে পারেন:
> করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে যা বললেন চিকিৎসক
> বিদেশী নাগরিকদের সহযোগিতার আশ্বাস পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
> করোনাভাইরাস: নাগরিকরা প্রত্যেকে পাবেন ১২ শ ডলার
> করোনাভাইরাসকে ‘অবহেলা’ করছেন ট্রাম্প
> গুজবে হবিগঞ্জবাসীর নির্ঘুম রাত
> করোনা নিয়ে গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা
> পিপিই ছাড়া চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা স্থগিত
> দেশ লকডাউন হলেও মসজিদ বন্ধ করা যাবে না
> করোনার সচেতনতায় এমনটা কেউ করেননি আগে
> যে ৭ রোগ থাকলে করোনা হলে আপনার ঝুঁকি বেশি
> লকডাউন: বাড়ি ফিরতে ছেলেকে কাঁধে নিয়ে ২ দিন হাঁটলেন যুবক
> করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মঙ্গলবার অ্যাপলের মূল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকন জানিয়েছে ভারতীয় সরকারের আদেশ মানতে দেশটিতে কার্যক্রম বাতিল করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বের ২০০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ২৪ হাজার জনের। তবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে এক লাখ ২২ হাজার মানুষ।
সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৮২১১। এরপর স্পেনে মারা গেছে ৪৩৬৫ জন। চীনে মারা গেছে ৩২৯১ জন। এ ছাড়া ইরানে মারা গেছে ২২৩৪ জন। ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ১৬৯৮। যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছে ১২৯৬ জন মানুষ।
গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল চীন। দেশটিতে সংক্রমণ থেমে যাওয়ায় ভাইরাসটির নতুন কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায় ইউরোপ। ফলে গত কয়েক দিনে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালি ও স্পেন।
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন মানুষের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরপর ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৮১ হাজার ৭৮২ জন। স্পেনে ৫৭ হাজার ৭৮৬ জন মানুষকে আক্রান্ত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ইউরোপে আক্রান্তের কমে এসেছে। তবে আমেরিকায় সে সংখ্যা বাড়ছে। তাই অঞ্চলটি করোনার নতুন উপকেন্দ্র হয়ে ওঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে
আরো পড়ুন:
> ঢাকার রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ, সাথে সেনাবাহিনী
> বিমানের দুটি ছাড়া সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ
> করোনায় চিকিৎসক যুগলের অন্যন্য দৃষ্টান্ত
> স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
> করোনা একটি যুদ্ধ, আমাদের জিততে হবে
> কোনো ধরনের জনসমাগম নয়: প্রধানমন্ত্রী
> করোনাভাইরাস: বাড়িতে যা করবেন
> হ্যান্ডওয়াশ মাস্ক দিচ্ছে সেনাবাহিনী
> করোনা পরিস্থিতি তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে
> করোনায় প্রাথমিকে ‘বার্তা’ পাঠাবে মন্ত্রণালয়
> করোনাভাইরাসকে ‘ধন্যবাদ’, বিপাকে বিদ্যা বালান
> করোনা থেকে বাঁচতে ডেটল খেয়ে ৫৯ জনের মৃত্যু