ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

যেসব রহস্য উদঘাটন হয়নি এখনো

  ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২০, ১৭:৫৯

যেসব রহস্য উদঘাটন হয়নি এখনো
প্রতীকী ছবি

রহস্যঘেরা পৃথিবীতে অনেক কিছুই থেকে যায় দৃষ্টির বাইরে। অনেক কিছু চাইলেও জানা সম্ভব হয়না। আবার কিছু প্রাকৃতিক জায়গা নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে আলোচনা। এসব স্থান নিয়ে নানান লোকগল্প যেমন প্রচলিত থাকে তেমনি আবার রহস্যেরও অন্ত নেই। যুগ যুগ ধরে একনিষ্ঠভাবে এই সকল স্থানের রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করেও আজ পর্যন্ত কোনো কূল-কিনার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এ নিয়ে যেন রীতিমতো আক্ষেপ রয়ে গেছে তাদের।

ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী

‘ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালী’ বরফের দেশ এন্টার্কটিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত। জনমানবহীন এই উপত্যকাটি বিশ্বের সবচাইতে শুষ্ক মরুভূমির মধ্যে একটি। প্রতিবছর গড়ে বৃষ্টির পরিমাণ খুবই নগণ্য। স্থানটি মেরুঅঞ্চলের বরফে ঢাকা। এখানে কিছু শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ দেখা গেলেও কোন বড় গাছপালা নেই। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবী এই স্থানটির সাথে অদ্ভূত ভাবে মিল রয়েছে মঙ্গল গ্রহের পরিবেশের।

মাউন্ট রোরাইমা

মাউন্ট রোরাইমা সমতল শীর্ষ বিশিষ্ট পর্বতমালা যার স্থানীয় নাম টিপুই। ভেনিজুয়েলায় এটি অবস্থিত। খুবই দুর্গম আর মেঘে আবৃত-ভেজা রহস্যময় টিপুই। এমনকি শুকনো মরসুমে এটি মেঘে ঢাকা থাকে। ১৫৯৬ সালে প্রথম ‘মাউন্ট রোরাইমা’ প্রথম ভূ-বিজ্ঞানীদের নজর কাড়ে। ৩১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান আর চারদিক ৪০০ মিটার লম্বা ক্লিফ দ্বারা বেষ্টিত এই পর্বতমালার অবস্থান তিন দেশের সীমান্তে ভেনিজুয়েলা, ব্রাজিল আর গায়ানা। কিন্তু একমাত্র ভেনিজুয়েলা সীমান্ত দিয়েই এই দুর্গম পর্বতে প্রবেশ করা যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া রেসট্র্যাক প্লায়া

পৃথিবীর আরও একটি বিস্ময়কারী স্থান হল ‘ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া’ বা ‘চলমান পাথর’ উপত্যকা। এখানের পাথরগুলো আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে নিজে নিজেই স্থান পরিবর্তন করে। পাথরগুলিকে চলমান অবস্থায় কেউ কখনো দেখেনি, তবুও পাতলা কাদার স্তরেথেকে যাওয়া ছাপ থেকে পাথরগুলোর স্থান পরিবর্তন নিশ্চিত হওয়া যায়। কিছু কিছু পাথরের কয়েকশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন হয়, এই ভারি ভারি পাথরগুলো কিভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়, সে রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

পাথরের ট্রেইলে রেখে যাওয়া সূক্ষ্ম ছাপ থেকে বোঝা যায় পাথরগুলো এমন সময়ে স্থান পরিবর্তন করে যখন উপত্যকায় পাতলা কাঁদামাটির আস্তরণ রয়েছে। মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর দ্বারা পাথরের স্থান পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও আশেপাশের কাদায় তাদের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় না। ক্যালিফোর্নিয়ার রেসট্র্যাক প্লায়া, ডেথ ভ্যালি-তে এমন বিশ্বয়কর ঘটনাটি বিশেষজ্ঞদের নজরে আসে ১৯৪৮ সালে। বিজ্ঞানীরা আজও পাথরের চলার ভিন্নতার কারণ রহস্য উম্মোচন করতে পারেন নি।

তুর্কেমেনিস্তানের ডারভায শহর

তুর্কেমেনিস্তানের ডারভায শহরে এটি রয়েছে। এটি একটি জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি ‘নরকের দরজা’ নামে পরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি একটানা দাউ দাউ করে জ্বলছে। ১৯৭১ সালে এখানে গ্যাস খনির সন্ধান মেলে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন যার পরিমাণ ছিল সীমিত। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে ফলে এর বিষাক্ততা ছড়ানোর সুযোগ পাবে না। এরপর এখানে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু গবেষকদের অবাক করে দিয়ে তা এখনও অর্থাত্‍ ৪০ বছর ধরে অবিরাম জ্বলছে।

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

পৃথিবীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল। এটা শয়তানের ত্রিভূজ নামেও পরিচিত। আটলান্টিক মহাসাগরের একটি বিশেষ অঞ্চলে এটি অবস্থিত। যেখান বেশ কিছু জাহাজ ও বিমান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছে। যার রহস্য আজও অজানা। অনেকে মনে করেন ঐ সকল অন্তর্ধানের কারণ নিছক দুর্ঘটনা। যার কারণ হতে পারে প্রাকৃতিক দূর্যোগ অথবা চালকের অসাবধানতা। আবার চলতি উপকথা অনুসারে এসবের পেছনে দায়ী হল কোন অতিপ্রকৃতিক শক্তি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

অন্যরা যা পড়ছেন:

> মহামারির তিক্ততা কমাবে শীতের সুমিষ্ট পিঠা

> মায়ের জীবন বাঁচাতে উন্মুক্ত চিত্র প্রদর্শনী

> সেতু আছে সড়ক নেই

> ধারণা বদলানো ডায়নোসর ‘শাবক’

> ডায়াবেটিসকে সঙ্গী করেও সুস্থ থাকুন

> শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হাজির শিশির ভেজা ভোর

> হলুদ চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের

  • সর্বশেষ
  • পঠিত