ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বের আলোচিত কিছু সীমান্ত

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:০৬  
আপডেট :
 ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৯:২২

বিশ্বের আলোচিত কিছু সীমান্ত
ছবি- সংগৃহীত

অনেক কারণেই বিভিন্ন সময় আলোচিত হয় বিভিন্ন বিষয়। এমনই একটি বিষয় হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কিছু সীমান্ত। চলুন জেনে নিই এমন কিছু সীমান্ত সম্পর্কে।

বাংলাদেশ-ভারত

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা চ্যানেল ফোরের তথ্য বলছে, সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। যার প্রায় ৯৫ শতাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ভারতীয় সৈন্যরা স্বাধীনতার পরপরই নানা জায়গায় ক্যাম্প বসানোর কাজ শুরু করে। যার বেশির ভাগ সংযোগস্থল রাস্তাগুলো বাংলাদেশের সীমান্তের মধ্যে চলে আসে। এরকমই একটি স্থান হচ্ছে মেঘালয় রাজ্য সংলগ্ন পাদুয়া।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল

কয়েক বছর ধরেই সর্বাধিক আলোচিত সীমান্ত হচ্ছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সীমান্ত। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সীমান্তজুড়ে প্রায় সময় সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানকার বহু মানুষ নিষ্ঠুরভাবে প্রাণ হারাচ্ছে। সে কারণে বর্তমানে সেখানে ২৫ মাইল সীমান্তজুড়ে ফিলিস্তিন গড়ে তুলেছে নিরাপত্তা প্রাচীর। রাখা হয়েছে পাঁচটি প্রবেশপথ। প্রবেশপথগুলো রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারিতে। কেননা সারা বছরই ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বিদ্যমান থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো

পৃথিবীজুড়ে আলোচিত সীমান্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত। ২০১৪ সালে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমের প্রতিবেদন বলছে, বিগত ১৪ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে ধরা হয়, এই সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মেক্সিকান নাগরিক প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রে। এদিকে মাদক চোরাকারবারিদের জন্য এই সীমান্ত যেন গেইট অব হেভেন। আবার অনেক আমেরিকান নিজের দেশে অপরাধ ঘটিয়ে আত্মগোপনের জন্য পাড়ি দেন মেক্সিকোতে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই হলো মাফিয়া সদস্য। মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাদক পাচার হয়। ২০০৬ সালে মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ফিলিপ ক্যালডেরোন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেন। ফলে সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে চোরাকারবারিদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে গত চার বছরে প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ মারা যান মেক্সিকোতে।

নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম

নেদারল্যান্ডসের শহর হলো বার্লে নাসাউ আর বেলজিয়ামের শহর হলো বার্লে হার্টগ। যা দুই দেশের সীমান্ত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তের মতো এই সীমান্তে কোন ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা না থাকলেও এটি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ এই সীমান্ত রেখা চলে গেছে একেবারে ঘরবাড়ি, রেস্টুরেন্ট, রাস্তাঘাট ভেদ করে। এ কারণেই প্রতি বছরই এই সীমান্ত দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন। দেখা গেছে, আপনি নেদারল্যান্ডসের কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে বসেছেন অথচ সেই রেস্টুরেন্টের রান্নাঘর পড়েছে বেলজিয়ামের বার্লে হার্টগ শহরে। যার ফলে একদেশের রান্না করা খাবার পরিবেশিত হচ্ছে অন্য দেশে।

উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়া

১৯৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই আলোচনায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া-দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্ত। এই সীমান্তকে সামরিক সজ্জায় সজ্জিত সীমান্ত বলা হয়ে থাকে। এর আগে নিজেদের বিভক্ত করার দ্বারা ১৯৪৮ সালে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। তবে দুই দেশের মধ্যে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় দুই দেশের সীমান্তজুড়ে সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করে এখনো। এর আগে ২০১০ সালে উত্তর কোরিয়ার গোলাগুলির জবাবে দক্ষিণ কোরিয়াও গুলি ছোড়ে। যদিও কোরিয়া যুদ্ধ শেষে দুই দেশের সৈন্যরা এই সীমান্তের দুই পাশে অবস্থান করে থাকে। এই দুই দেশের সীমান্ত প্রায় দেড়শ মাইল দীর্ঘ।

বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত