রাজার বিরুদ্ধে অভিমানী রাজকন্যার অভিযোগের গল্প
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:৪৬
রাজার বিরুদ্ধে রাজকন্যাকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ। সেটিও আবার রাজকন্যা নিজেই করেছেন। হ্যাঁ এতক্ষণ যা পড়ছিলেন তা একদমই সত্যি। দুবাই-এর শাসক শেখ শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতূমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই করেছিলেন তার কন্যা লতিফা।
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতূমের ২৫ ছেলেমেয়ের মধ্যে প্রিন্সেস লতিফা হচ্ছেন একজন।
২০২১ সালে হঠাৎ করে কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলোনা তার, দুবাই-এর শাসকের সেই কন্যা প্রিন্সেস লতিফার একটি ছবি তার কিছু দিন পর ভেসে আসে সামাজিক মাধ্যমে।
এর আগে প্রিন্সেস লতিফা তার পিতার বিরুদ্ধে তাকে জিম্মি করে রাখার অভিযোগ এনে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, তিনি তার জীবন নিয়ে ভয়ে আছেন। পরে তার সেই ভিডিও বিবৃতি বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয়েছিলো। এরপর এই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়াতে তার একটি ছবি পোস্ট করা হলো।
তারও আগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পারিবারিক বিধিনিষেধ ভাঙার চেষ্টা করে পালাতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। ভারত মহাসাগরে পালিয়ে যাবার সময় এক বোটে ধরা পড়েন এবং কম্যাণ্ডোরা তাকে দুবাইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।
যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে পোস্ট করা ওই ছবিতে দেখা যায়, নিখোঁজ ওই প্রিন্সেস দুবাই-এর একটি মলে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে বসে আছেন। সাথে কিছু মন্তব্য আছে যে তারা একটি দারুণ উপভোগ্য সন্ধ্যা কাটিয়েছেন।
তার এমন স্থিরচিত্রটি দেখার পর তিনি জীবিত আছেন তার প্রমাণ চেয়েছিলো জাতিসংঘ, জবাবে দুবাইয়ের শাসক তা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন।
এদিকে ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত প্রিন্সেস লতিফার সেই ছবিটির পিছনে দেখা যায় ওই বছরের ১৩ই মে মুক্তি পাওয়া 'ডেমন স্লেয়ার: মুগেন ট্রেন' নামে একটি সিনেমার বিজ্ঞাপন চিত্র।
তখন ধারনা করা হচ্ছিলো যদি ছবিটি সত্যি হয় - তাহলে প্রিন্সেস লতিফা যে এখনও বেঁচে আছেন এটি হবে তার একটি প্রমাণ।
তবে বিবিসি ছবিটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি, কিন্তু একটি সূত্র জানান প্রিন্সেস লতিফার পরিচিত কয়েকজন জানিয়েছেন যে তারা প্রিন্সেস এবং তার সাথে থাকা অন্যদের চিনতে পেরেছেন। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে এখনো এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করা হয়নি।
বাংলাদেশ জার্নাল/সেফু/কেএ
