ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বের কয়েকটি নিষিদ্ধ স্থান, যেখানে প্রবেশে পেতে হয় শাস্তি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৫:০৮  
আপডেট :
 ০৬ আগস্ট ২০২২, ১৫:১৬

বিশ্বের কয়েকটি নিষিদ্ধ স্থান, যেখানে প্রবেশে পেতে হয় শাস্তি

কথায় রয়েছে, কোথাও যেতে মানা নেই। আর কথা মাথায় ধারণ করেই পর্যটকরা সব সময় বিভিন্ন গন্তব্যের খোঁজ করেন। তবে পৃথিবীতে এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে চাইলেও যাওয়া যাবে না। সেসব স্থান সুন্দর হলেও ভয়ংকর।

আর এ কারণেই কর্তৃপক্ষরা ওইসব স্থানে প্রবেশ করতে দেন না পর্যটকদের। এসব স্থানে প্রবেশ করতে গেলে গুনতে হয় জরিমানা এমনকি শাস্তিও পেতে পারেন।

চলুন তবে জেনে নেয়া যাক তেমনই কয়েকটি স্থানের খোঁজ-

ল্যাসকাক্স গুহা

ফ্রান্সে এই গুহাগুলো ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয়। এসব গুহার দেওয়ালে খোদাই করা ও পশুর চিত্রকর্ম আছে। যা ১৭ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো বলে ধারণা করা হয়। গুহাগুলো ১৯৬৩ সাল থেকে জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

স্নেক আইল্যান্ড

মৃত্যুর ইচ্ছা না থাকলে কেউ এই জায়গায় যেতে চায় না! বিপজ্জনক ও অত্যন্ত বিষাক্ত সাপে পরিপূর্ণ একটি স্থান। রেকর্ড অনুসারে, ব্রাজিলের এ দ্বীপটিতে প্রায় ৪০০ মারাত্মক সোনালি ল্যান্সহেড (পিট ভাইপারের একটি প্রজাতি) আছে।

এই সাপের বিষ এতটাই শক্তিশালী যে এর কামড়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মানুষের মাংস গলে যেতে পারে। তাই এই দ্বীপে প্রবেশ অনুমতি দেওয়া হয় না। এটি একটি অবৈধ ও নিষিদ্ধ স্থান।

ইউএস বুলিয়ন ডিপোজিটরি

এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুরক্ষিত স্থানগুলোর মধ্যে একটি! ফোর্ট নক্সের ইউএস আর্মি ইন্সটলেশনের কেনটাকি এই রক্ষিত ভল্টটিতে টন টন সোনা ও গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নথি আছে। ভবনটি সব সময় সশস্ত্র প্রহরী ও চার ফুট পুরু গ্রানাইট প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত আছে।

ইস গ্র্যান্ড ট্রাইন

জাপানের ইস গ্র্যান্ড হল প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো শিন্টো মন্দির, যা সূর্যদেবী আমাতেরাসুর জন্য নির্মিত হয়েছিল। প্রচলিত আছে, স্থানটিতে সেখানকার সম্রাটের পবিত্র আয়না আছে। শুধু রাজপরিবারের সদস্য ও কিছু পুরোহিত ছাড়া এই মন্দিরে সবার প্রবেশ নিষেধ। জাপানি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত মন্দিরটি।

বোহেমিয়ার গ্রোভ

বোহেমিয়ান গ্রোভ পৃথিবীর সবচেয়ে সংরক্ষিত ও গোপন এলাকার মধ্যে অন্যতম। যুক্তরাষ্ট্রের মন্টে রিওতে অবস্থিত ২৭০০ একরের এই ক্যাম্প গ্রাউন্ডটিতে শুধুমাত্র জুলাইয়ে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ও প্রশাসনের সদস্যরা আসেন এই। মনে করা হয়, ১৯৪২ সালের ম্যানহাটন প্রকল্পের আলোচনা হয়েছিল এখানে। সাধারণের প্রবেশ এখানে নিষেধ।

সিক্রেট আর্কাইভ

ভ্যাটিকান সিটির সিক্রেট আর্কাইভ বা গোপন সংগ্রহশালাতে সাধারণ তো নয়ই ভ্যাটিকান সিটির স্কলাররাও ঢোকার অনুমতি পান না। ভ্যাটিকানের এ ভল্টে রাখা রয়েছে বেশ কিছু গুপ্ত জিনিস। উচ্চপর্যায়ের গবেষকদের ক্ষেত্রে ‘হাই প্রোফাইল’ অনুমতি থাকলে তবেই মেলে সেখানে প্রবেশ করার সুযোগ।

কিন শি হুয়ানের সমাধি

পাহাড়ের গভীরে বিষাক্ত পারদের পরিখাঘেরা কিন শি হুয়ানের সমাধি। সশস্ত্র প্রহরা রয়েছে এখানে। সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। কেউ বলেন, সমাধিস্থলে রয়েছে অনেক পারদ, যা ক্ষতিকারক। কেউ বলেন, সমাধিস্থ করা হয়নি নাকি কিছু মৃতদেহ।

নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড

নিউইয়র্ক শহরের ভেতর এক রহস্যময় দ্বীপ নর্থ ব্রাদার আইল্যান্ড। প্রথমে ইয়েলো ফিভার, তার পর স্মল পক্স ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রোগীদের জন্য বিশেষ হাসপাতাল ছিল। তারপর হাসপাতালগুলিও পরিত্যক্ত। বন্ধ করে দেওয়া হয় এই দ্বীপ।

উত্তর সেন্টিনেল দ্বীপ

এটি বঙ্গোপসাগরের একটি বন দ্বীপ। স্থানটি সেন্টিনেলিজদের আবাসস্থল। তারা হলেন সেখানকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী যার আনুমানিক জনসংখ্যা ৫০০ জনেরও কম।

এরা বাইরের পৃথিবী থেকে একেবারেই নিরবচ্ছিন্ন। এমনকি এই ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীরা তাদের এলাকায় বাইরের কাউকেই প্রবেশ করতে দেয় না। এ কারণে সেখানেও যাওয়া বেআইনি।

ইতালির পোভেগ্লিয়া

ইতালির ‘মোস্ট হন্টেড প্লেস’ বলা হয় একে। অশরীরীরা নাকি এখানেই থাকেন, বলা হয় এমনটাই। উনিশ শতকে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা করা হত, এই দ্বীপে। সেখানে এক চিকিৎসক নাকি রোগীদের উপর গবেষণা করতেন! এর পরই রটনা শুরু হতে থাকে। বিশেষ অনুমতিপত্র ছাড়া এখানে প্রবেশ নিষেধ।

হার্ড আইল্যান্ড

ম্যাডাগাস্কার ও অ্যান্টার্কটিকার মাঝে রয়েছে এটি। অস্ট্রেলিয়ার এই দ্বীপটি বরফে আবৃত। রয়েছে সিল মাছ ও পেঙ্গুইনের আনাগোনা। প্রবেশ নিষেধ এই দ্বীপে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত