ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

অনিন্দ্য সুন্দর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:২৫

অনিন্দ্য সুন্দর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত

ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত মধ্য-দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অনিন্দ্য সুন্দর। জিম্বাবুয়ে উত্তর-পশ্চিমাংশে ও জাম্বিয়ার দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত যৌথ নদী জাম্বেজি থেকে এ জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়েছে।

এটি উচ্চতায় ১০৮.৩ মিটার এবং প্রস্থে ১,৭০৩ মিটার। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৩,০০০ ঘনফুট (৯৩৫ ঘনমিটার) জল পতিত হয়। তবে নিম্ন নদী প্রবাহকালীন সময়ে পূর্বদিকের অংশ প্রায়শঃই শুষ্ক থাকে। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের সাথে তুলনা করলে ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত প্রায় দ্বিগুণ প্রশস্ত ও দ্বিগুণ গভীর।

ইউনেস্কো ১৯৮৯ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে জলপ্রপাতটিকে উভয় নামেই তালিকাভূক্ত করেছে। জলপ্রপাতের উভয় অংশকে সংযুক্ত করতে ভিক্টোরিয়া ফলস (জাম্বেজি) সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে রেলওয়ে, মোটরগাড়ি চলাচল করে। বর্তমানে এটি বহিঃবিশ্বের পর্যটকদের কাছে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া ফলস ন্যাশনাল পার্ক এবং জাম্বিয়ার মোজি-ওয়া-তুনিয়া ন্যাশনাল পার্ক ব্যাপক এলাকা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। আশেপাশের বনে অ্যান্টিলোপ, হাতি, জিরাফ, জেব্রা, সিংহ, চিতা ইত্যাদি প্রাণীর বসবাস। পাহাড়ের চূড়ায় বাজপাখি, ঈগল আবাস গড়েছে।

নামকরণ

স্থানীয় চিতোঙ্গা আদিবাসীরা একে মোজি-ওয়া-তুনিয়া নামে ডেকে থাকে। এর অর্থ হচ্ছে বজ্রের ধোঁয়া। জলপ্রপাতের আওয়াজ অত্যন্ত গর্জনশীল, তাই এরূপ নামকরণ। ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী রাণী ভিক্টোরিয়াকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ১৬ নভেম্বর, ১৮৫৫ তারিখে স্কটিশ মিশনারি ও ব্রিটিশ অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন নিজ নামে পরিচিত লিভিংস্টোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে জলপ্রপাতটি দেখে এর নামকরণ করেন। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এ জলপ্রপাতের পুনরায় নামকরণ করেছে মোজি-ওয়া-তুনিয়া।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত