ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘রুমিন ম্যাডাম সময় নেননি’

‘রুমিন ম্যাডাম সময় নেননি’

গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা। তার প্লট কাণ্ড নিয়ে নানা জনে নানা কথা বলছেন, বলাবাহুল্য বেশিরভাগই সমালোচনা। এ নিয়ে মঙ্গলবার নিজের পেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন ‘অঙ্গীকার বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হিলালউদ্দীন।

তিনি ‘রুমিন ম্যাডাম সময় নেননি’ শিরোনামের ওই পোস্টে লিখেছেন, আজকের একাধিক দৈনিকের প্রথম পাতায় দেখলাম একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সাংসদ (আইন প্রণেতা), রুমিন ফারহানা(ব্যারিস্টার), তথ্য গোপন করে সাংসদ কোটায় পূর্বাচলে দশ কাঠার একটি প্লট এবং একটি ফ্ল্যাটের আবেদন করেছেন। তথ্য গোপন মানে ঢাকায় যদি কারো বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকে তাহলে তিনি এ ধরনের প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাবেন না। পত্রিকার খবর অনুযায়ী এলিফ্যান্ট রোডে তার একটি বাড়ি আছে। বিএনপির নারী কোটায় সাংসদ হিসাবে শপথ নেওয়ার পরের দিন তিনি সেই সংসদকেই অবৈধ বলে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন।

তিনি আরো লেখেন, রুমিন ফারহানা অবৈধ সংসদের সাংসদ হিসাবে সকল ব্যাক্তিগত সুযোগ সুবিধা কড়াই গণ্ডায় ভোগ করার জন্য এমনকি ‘ঢাকায় ফ্ল্যাট নাই’ মর্মে মিথ্যা ঘোষনা দিয়েছেন। ব্যারিস্টার মানুষতো, চাপার যথেষ্ট জোড় আছে বলা যায়। এখন তিনি বলছেন, ‘সরকারি নথি থেকে তথ্য ফাঁস হলো কিভাবে?’ এ দেখি চোরের মায়ের বড় গলা। তিনি আবার যুক্তি দিচ্ছেন, ‘সাংসদ না হয়েও কেউ (সম্ভবতঃ মুহিত) যদি শুল্কমুক্ত গাড়ি পায় তাহলে আমার একার দোষ কোথায়?’আসলে তিনি বলতে চাচ্ছেন যে, ‘আমরা চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।’

মুহাম্মদ হিলালউদ্দীন তার পোস্টে দেশের সিুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির সমালোচনা করে লিখেছেন, উপর মহলে নৈতিকতার মুখোশ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে পড়ছে। জনঘন ছোট্ট এই দেশে ভূমির স্বল্পতা সত্তেও নগরীর সন্নিকটের গরিব কৃষকের কৃষি জমি স্বল্পমূল্যে অধিগ্রহণ করে সরকারি খরচে গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, উত্তরা, পূর্বাচল প্রভৃতি আবাসিক এলাকার গড়ে তুলা হয়েছে। সেখানে বহুতল ফ্ল্যাট বা এপার্টমেন্ট নির্মাণ না করে সমাজের উপর মহলের এলিটদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এর শুরু পাকিস্তান আমলে। এসব এলিট শ্রেণি ভূমির অপব্যবহার করে এসব প্লটে বিলাসবহুল একক ভবন নির্মাণ করেন। স্বাধীনতার পর একই ধারা শুরু হয় এরশাদের আমলে উত্তরা প্রকল্প দিয়ে। এখন উত্তরা, পূর্বাচল, ঝিলিমিলি প্রকল্পে যে সব এলিট স্বল্পমূল্যে প্লট পেয়েছেন তা তারা সরকারি খরচে রাস্তা-ঘাট বানানোর পর বহুগুণ মূল্যে হাতবদল করছেন।

যদিও রাজউকের শর্তে আছে ঢাকায় ফ্ল্যাট বা প্লট থাকলে এসব আবাসিক প্রকল্পে কেউ বরাদ্দ পাবেন না। কিন্তু অতিলোভী এই সাংসদ একটা জিনিস উম্মোচন করে দিয়েছেন যে ,এসব বরাদ্দ প্রাপ্তির অধিকাংশের পেছনে আছে মিথ্যা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন ইতিকথা।

তার ভাষায়, ‘আরও একটা নগ্নতা উম্মোচিত হয়েছে। উপর মহলে যে কোন আমলে ক্ষমতাসীন আর বিরোধীদলের এলিটদের একটি অংশ পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তা না হলে এ ধরনের বেআইনি ও অনৈতিক কার্যকালাপ অপ্রতিরোধ্য ভাবে ক্রমশঃ বিস্তার লাভ করছে কিভাবে।’

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার দু’মাসের মধ্যে সরকারের কাছে ১০ কাঠার প্লট চেয়েছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। এ নিয়ে অনেকেই তার সমালোচনা করেছেন। যদিও ইতিমধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছেন সাংসদ রুমিন। সেখানে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে তার ফেসবুক হ্যাক ও ফোনে আড়িপাতা থেকে শুরু করে নানা অভিযোগ এনেছেন।

এমএ/

  • সর্বশেষ
  • পঠিত