হংকং বিক্ষোভে সামিল এক নারীর কাহিনি
ফিচার ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৫ আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৯
বন্দী বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েক মাস ধরে উত্তাল হংকং। প্রস্তাবিত এই বিলে হংকংয়ের সন্দেহভাজন অপরাধীদের মূল ভূখণ্ড চীনের কাছে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছে। হংকংবাসীর তীব্র আন্দোলনের মুখে গত ১৫ জুন ক্যারি ল্যাম বন্দী প্রত্যর্পণ বিল স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু ততে শান্ত হয়নি জনগণ। তারা বিলটি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। এ সময় গ্রেপ্তার হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ।
হংকং-এ গণতন্ত্রপন্থীদের লাগাতার বিক্ষোভ এখনও থামার কোন লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় কীভাবে আইন পরিষদে ঢুকে পড়া বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন বিবিসির কাছে তারই বর্ণনা দেন এক নারী।
তিনি বলেন, প্রথমেই তারা যখন যান তখন বিক্ষোভকারীদের সামনের সারিতে থাকা লোকজন ভবনের কাঁচগুলো ভেঙে ফেলে। এ সময় অনেকেই ভবনে ঢুকে পড়ে।
ওই নারী বলেন, আমি আইন পরিষদের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম, ভাবছিলাম ভেতরে ঢুকবো কিনা। আমার গোটা শরীর কাঁপছিলো। ভয় করছিলো। কয়েকজন লম্বা চওড়া চেহারার লোক শাটার খুলে আমাদের ভেতর ঢুকতে দিলো। আমি দেখলাম ভেতরে প্রচুর মানুষ রয়েছে, পুরুষ এবং নারী। মেয়েরাও কক্ষের ভেতর ঢুকে দরজা এবং তালা ভাঙার সাহস করেছে দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম।
তিনি যোগ করেন, তারা চীন বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে বলছিলেন এগুলো ‘জঘন্য ঘটনা’। তারা বলছিলো এই বিক্ষোভ ‘আইনের শাসনের ব্যাপক ক্ষতি’করেছে।
হংকং কর্তৃপক্ষ বলছে ক্ষতি সারাতে ৬০ লাখ ডলার খরচ হবে। দেশটিতে প্রতিবাদ আন্দোলনে জুন মাসের পর থেকে দেড় শ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছু মানুষ লোহার প্রতিবন্ধকতা সরিয়েছে, কিছু মানুষ দেয়াল লিখন লিখেছে।
ওই নারী বলেন, আমি আইন পরিষদে যখন ঢুকলাম সবাই ছিলো ভীত ও বিভ্রান্ত। আমি গ্রেপ্তার হবার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। সেখানে অনেকগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিলো। আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি আমার কাজের জন্য আমি অনুতপ্ত নই। আমি জানি আমরা ঠিক করেছি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে