কিমের প্রিয় শহর সামচিওন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৪ আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৯
সম্প্রতি সামচিওন শহরকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এটি কিম জং উনের প্রিয় শহর। এরপরই তিনি একে আধুনিক এক স্বর্গীয় শহর হিসেবে বর্ণনা করেছে। এ শহরকে নিয়ে কিমের কেন এত উচ্ছ্বাস? চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক।
সামচিওন শহরের উদ্বোধন করছেন কিম জং উন। তার ভাষায় শহরটি ‘এক খণ্ড আধুনিক সভ্যতার এক নমুনা’৷ উত্তর কোরিয়া আর চীনকে ভৌগোলিকভাবে আলাদা করেছে ইয়ালু নদী। তার ১৫ কিলোমিটার দূরে পিকতু পর্বতের ধারে সামচিওন শহরটির অবস্থান। এটি উত্তর কোরিয়ার কাছে পবিত্র ভূমি হিসেবে বিবেচিত। কারণ, এটি যে কিমের বাবা কিম জং ইলের প্রিয় জন্মভূমি।
এই শহরের নাম দেয়া হয়েছে সমাজতন্ত্রের অধীনে আধুনিক পাহাড়ি শহর। এখানে চার হাজার পরিবারের বসবাস। রয়েছে মনোরম উদ্যান, হোটেল আর সুন্দর সব ভবন। পাশাপাশি রয়েছে হাসপাতাল, সাংস্কৃতিক স্থাপনা এবং একটি স্কি রিসোর্টও। শহরটি উদ্বোধনের দিন এখানে প্রচুর আতশবাজি পোড়ানো হয়েছে। কেননা মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যেও সামচিওন শহরের উদ্বোধনকে কিমের অধীনে দেশটির সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছে উত্তর কোরিয়া সরকার।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, কঠিন পরীক্ষা আর বাধা অতিক্রম করে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে নির্মাণ উপকরণের অভাব আর শ্রমিক স্বল্পতার কারণে এর নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যায়নি।
এই শহরের নির্মাণ কাজের জন্য তরুণ শ্রমিকদের একটি দল গঠন করেছিল পিয়ংইয়ং সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব শ্রমিকদের ‘দাস’হিসাবে উল্লেখ করেছে। কেননা এদের কোনো মজুরি ছিল না। সামান্য খাবারের বিনিময়ে তাদের দৈনিক বারো ঘন্টা করে কাজ করতে হয়েছে, টানা প্রায় দশ বছর ধরে। তবে এই শ্রমের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের মিলেছে বাড়তি সুযোগ।
ফিতা কেটে শহরের উদ্বোধন করছেন কিম
এমএ/