ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

১১ মাসে শিক্ষামন্ত্রীর যত সাফল্য

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:৪২  
আপডেট :
 ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:২৭

১১ মাসে শিক্ষামন্ত্রীর যত সাফল্য

দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পারিবারিক নানা ঝামেলার মধ্যে দিয়েও শিক্ষা সেক্টরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি। তার স্বামী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া করতে হয় তাকে। এ নিয়ে তার ব্যস্ততা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন এত ব্যস্ততার মধ্যেও শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষা উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন - তা প্রশংসার দাবিদার। এত কিছুর মাঝে সাফল্যও দেখিয়েছেন নানা ক্ষেত্রে।

শিক্ষামন্ত্রীর সাফল্যের মধ্যে রয়েছে- সারাবিশ্বে একযোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী পালন হবে। ইউনেস্কোর ৪০ তম সাধারণ অধিবেশনে তিনি বিষয়টি পাস করতে সমর্থ হন।

শিক্ষামন্ত্রী তার সময়ে অনুষ্ঠিত সকল পাবলিক পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁস মুক্ত সক্ষম হয়েছেন। কঠোর নজরদারিতে ছিল পাবলিক পরীক্ষা।

তাছাড়া সবচেয়ে সাফল্যের বিষয় ২০১০ সালের পর এই প্রথম তিনি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তি করেছেন। এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে কোন তদবির এখানে কাজে আসেনি। নীতিমালা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তিনি কঠোর অবস্থানে ছিলেন। আর নীতিমালা মেনেই তিনি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন।

শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ নানা দিক গুলো তিনি বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নিয়েছেন। জাতীয়করণকৃত কলেজের জনজনবল যাতে অতি দ্রুত ও সহজে আত্তীকৃত হতে পারে সে বিষয়ে তিনি কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে সরজমিনে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন।

দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি শিক্ষা ক্যাডারে রদবদল করেন। তবে এটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তার মন্ত্রী থাকার শেষ সময় যেসব কর্মকর্তাদের দুর্নীতির দায়ে বদলি করেছিলেন। দিপু মনি তাদের ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। আর এই নিয়ে সমালোচনার সূত্রপাত। কয়েকটি প্রভাবশালী গণমাধ্যম ঘেঁটে এ তথ্য জানা যায়। তবে গত সপ্তাহে নতুন একটি বদলির অর্ডারে প্রশংসার আলো ছড়িয়েছে শিক্ষা জগতে।

শিক্ষা উন্নয়নে যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলো তিনি স্বচ্ছতার সাথে বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।

মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিভিন্ন কারণে দেশের কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বিরোধী যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল তা তিনি থামাতে সমর্থ হয়েছেন। বুয়েট ছাত্র আরবের হত্যাকালীন আন্দোলন আর এগোতে পারেনি মন্ত্রীর কৌশলী নীতির কারণে। ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন তৈরি হয়েছিল। আন্দোলনে ভিসির পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন। এক্ষেত্রে মন্ত্রী দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। ঠিক একইভাবে কৌশল অবলম্বন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট মোকাবেলায়। অনেকেই মনে করছেন মন্ত্রী দক্ষ হাতে এই সংকটও দ্রুত সমাধান করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত