ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

মুমিনুলের পর মুশফিকের সেঞ্চুরি

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:২২

মুমিনুলের পর মুশফিকের সেঞ্চুরি

সকালের সেশনে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন মুমিনুল হক। লাঞ্চের পর মুশফিকও উদযাপন করলেন তিন অঙ্ক স্পর্শ করে। এ নিয়ে ক্যারিয়ারের ৭ম বার টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পেলেন মুশি।

মুমিনুল ও মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ঢাকা টেস্টে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছে বাংলাদেশ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের ২৬৫ রানের জবাবে স্বাগতিকরা তুলেছে ৩ উইকেটে ৩৫৭ রান। উইকেটে রয়েছেন মুমিনুল হক ১২০ আর মুশফিকুর রহিম ১০৩ রানে।

বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্ট বলতে চোখের সামনে ভেসে আসে মুমিনুল হকের নাম। প্রতিপক্ষ যে ই হোক না, ফরম্যাট যদি হয় টেস্ট— তবে মুমিনুল মানেই রানের ফুলঝুরি! কিন্তু শেষ কয়েক টেস্টেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন মুমিনুল। যেন রান করা ভুলেই গিয়েছেন এই লিটল মাস্টার। ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে বাজে পারফরম্যান্সের পর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছেন তিনি। ইতোমধ্যে তুলে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরি। আর অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুলের এটি প্রথম সেঞ্চুরি। স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি নয় সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে। ২০৮ মিনিটে ১৫৬ বলে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পথে মুমিনুলের ব্যাট থেকে এসেছে ১২টি চার।

একমাত্র টেস্টে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। আজ সেখান থেকে তৃতীয় দিন শুরু করেছে স্বাগতিকরা। মুশফিক ও মুমিনুলের ব্যাটে ভর করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ওয়ানডে স্টাইলেই খেলেছেন দুই ওপেনার সাইফ ও তামিম। কিন্তু সাইফের ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নময় হয়নি। অভিষেক টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে আটকে যান ১৬ রানেই। এরপর দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন সাইফ। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানেই ভিক্টর নায়াউচির শিকার হন তিনি।

১৮ রানের মাথায় সাইফ হাসানের উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর জিম্বাবুয়ে বোলারদের বেশ ভালোভাবে ধৈর্যের পরীক্ষা নেন দুই ব্যাটসম্যান। উইকেটে সেট হয়ে তামিম ফিফটির কাছাকাছিও চলে এসেছিলেন। কিন্তু হাফ-সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে তিরিপানোর বলে চাকাবাকে ক্যাচ তুলে দেন টাইগার ওপেনার। তামিমের ৮৯ বলের ধৈর্যশীল ৪১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ চারে।

কিন্তু উইকেট আগলে ধরে বসে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মুমিনুল হককে সঙ্গে নিয়ে সচল রাখেন রানের চাকা। আর পথিমধ্যে তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তবে অর্ধশতক তুলে নেওয়ার পর আরো মারমুখী হতে থাকে শান্ত। যেখানে অর্ধশতক তুলে নিতে খেলেছিলেন ১০৮ বল সেখানে পরের ৩১ বলে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ২১ রান। আর এর মাশুল দিতে হয়েছে ৭১ রানে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে। তামিম ফেরার পর মুমিনুলের সঙ্গে ৭৬ রানের জুটি গড়েন শান্ত। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতকও কিন্তু এরপর চার্লটন শুমার বলে চাকাবাহর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন দলীয় ১৭২ রানে।

শান্ত ফিরে যাওয়ার পর টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। শেষ দিকে মুশফিককে সঙ্গী করে দিন কাটিয়ে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।

এর আগে শনিবার টস জিতে জিম্বাবুয়ে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলে দিন শেষ করে। আজ সেখান থেকে দ্বিতীয় দিনে আরো ৩৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের সাবধানে সামলাচ্ছেন চাকাবা ও ত্রিপানো। আগের দিনের কথামত কোনমতে প্রথম সেশন কাটানোর ইচ্ছাই জিম্বাবুয়ের। তবে দিনের ৭ম ওভারে রাহির শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ত্রিপানো। ৩১ বল খেলে তার সংগ্রহ ৮ রান।

এরপর উইকেটে আসেন অভিষিক্ত চার্লটন শুমা। কিন্তু অভিষেক ম্যাচেই তাকে খালি হাতে ফেরান তাইজুল। তাইজুলের স্পিন ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন শুমা।

স্কোরকার্ডে ৪ রান যোগ হতেই টেলএন্ডার ব্যাটসম্যান এইন্সলে এনডিলোভুকে এলবির ফাঁদে ফেলেন রাহি। এটি রাহির চতুর্থ শিকার। জিম্বাবুয়ের উইকেটের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন তাইজুল। রেগিস চাকাভাকে নাইম হোসেনের তালুবন্দি করে মাঠছাড়া করেন এই স্পিনার।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত