ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনায় ফিট থাকতে ক্রিকেটারদের নির্দেশিকা

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৪:৫৫

করোনায় ফিট থাকতে ক্রিকেটারদের নির্দেশিকা

চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। কিন্তু এই রোগের প্রতিরোধক কোনও ওষুধ নেই, একমাত্র ভরসা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। চীনের উহানে গত ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হয় কভিড-১৯ নামে। যা ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ সহ প্রায় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের মধ্যে আতংক, পেরেশানী, ভয় এমনভাবে জায়গা করেনিয়েছে যে, কাজ করার স্বাভাবিক শক্তিটুকুও অনেকে পাচ্ছেনা।

করোনার প্রভাবে দেশের সকল ধরনের খেলাধুলা বন্ধ। খেলোয়াড়রাও মাঠে আসতে পারছেন না। তাই হচ্ছে না তাদের নিয়মিত অনুশীলন। তবে এর মধ্যেই শরীরের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাই তো ক্রিকেটারদের বলা হয়েছে পুষ্টিকর খাবার বেশি বেশি খেতে। দৈনন্দিন রুটিনও নতুনভাবে সাজানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিসিবির মেডিকেল বিভাগ থেকে।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ক্রিকেটারদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো নিয়ম করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের অনলাইন একটি গ্রুপে। করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার ওপর। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ ও পরাস্ত করার একটাই পথ খোলা মানুষের সামনে- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নেওয়া।

খেলোয়াড়দের এজন্য যে কাজগুলো করতে হবে সে রকম কিছু নির্দেশনার কথা বললেন দেবাশীষ চৌধুরী, 'আজ (গতকাল) থেকে খেলোয়াড়দের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যবিধি (মেন্টাল হেলথ টিপস) ও ইমিউনিটি সিস্টেম ডেভেলপে কিছু নির্দেশিকা জারি (সার্কুলেট) করছি ওদের অনলাইন গ্রুপে। প্রথমত; পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন রুটিন তৈরি করতে হবে খেলোয়াড়দের। ইউমিনিটি বাড়ানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া করতে বলা হচ্ছে। ইউমিনিটি বাড়ে এমন খাদ্য খেতে হবে সবাইকে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে বলা হচ্ছে। এই সময়ে মানসিকভাবে ভালো থাকাটা জরুরি। এজন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা পেতে বা তথ্য জানতে গ্রহণযোগ্য সূত্র বেছে নিতে হবে। বিশেষ করে সরকারি পোর্টালগুলো দেখতে বলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না দেখাই ভালো। ওখানে অনেক ধরনের ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য থাকে। যেগুলো মনের ওপর চাপ ফেলতে পারে। এ মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম না দেখাই ভালো।'

এ ব্যাপারে দেবাশীষ চৌধুরীর তালিকা অনুযায়ী ফলমূলের ভেতরে ভিটামিন সি জাতীয় ফল বেশি খাওয়া। লেবু, মালটা, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আনারস ও মৌসুমি ফল, ব্রুকলি, গাজর, শাকসবজি, অ্যাসপারাগাস, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণিজ প্রোটিন, বাদাম, ফ্রুুটস সালাদ, কফি, আইসক্রিম, চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত ঘুমাতে বলছেন বিসিবির এই চিকিৎসক।

তিনি জানান, দিনে আট থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে ইমিউনিটি বাড়াতে। পাশাপাশি ধূমপান পরিহার করতে বলা হচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি। বিজ্ঞানীরা প্রাণপণ লড়াই করে গেলেও প্রতিষেধক তৈরি করতে পারেননি। ছোঁয়াচে এই ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও ব্যক্তিগত জীবনযাপনে পরিবর্তন আনাই মহৌষধ। সরকারি নির্দেশনা জারি হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটাররা খেলার মাঠে আসা ছেড়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, পরিবার নিয়ে নিরাপদে এবং ভালো আছেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত