বাংলাদেশের ক্রিকেটে মুশফিকের ১৫ বছর
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২০, ১৫:০৮ আপডেট : ২৬ মে ২০২০, ১৫:১৩
আজ থেকে ১৫ বছর আগে মুশফিকুর রহিম দলের সাথে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ব্যাকআপ উইকেটরক্ষক হিসেবে। সফরের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ এবং অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংস খেলে টিম ম্যানেজম্যান্টকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেন ১৭ বছরের ‘সেই ছোট্ট’ ক্রিকেটার। ওই সফরের ১ম টেস্টে ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামিয়ে দেয়া হয় ১৭ বছরের তরুণ মুশফিকুর রহিমকে। ম্যাচে অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার ভিড়ে নিজের প্রথম ইনিংসে মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রানের ইনিংস, দুই ইনিংস মিলে রান করেন ২২ (১৯ ও ৩)।
২০০৫ সালের জানুয়ারিতেই প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন মুশফিক। একই বছর ২৬ মে প্রথম টেস্ট খেলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারেরই প্রথম টেস্ট খেলতে নামেন মুশফিক। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ান। এরপর থেকে চলতে থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ২০০৬ সালে ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। পথ চলতে চলতে, দেখতে দেখতে আজ বাংলাদেশ ক্রিকেটে মুশফিকের ১৫ বছর হয়ে গেছে।
দীর্ঘ এ ক্যারিয়ারে জাতীয় দলকে অনেক কিছুই দিয়েছেন মুশফিক। ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে ৭০টি টেস্ট, ২১৮টি ওয়ানডে ও ৮৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন মুশফিক। ব্যাট হাতে এই ম্যাচগুলোতে ১৪টি শতক এবং ৫৯টি অর্ধশতক। যার ভেতর রয়েছে টেস্টে ২১৯ এবং ওয়ানডেতে ১৪৪ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস। টাইগারদের ইতিহাসে টেস্টের সর্বপ্রথম ডাবল শতক হাঁকান মুশফিকই, শ্রীলংকার বিপক্ষে গলে ২০১৩ সালে। এরপর অবশ্য আরও ২টি ডাবল শতক হাঁকিয়েছেন মুশি দুটোই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাফল্য-ব্যর্থতা, পতন-উত্থানের সাক্ষী থাকা মুশফিক ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তার অধীনে বাংলাদেশ টেস্টে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, শ্রীলংকার মত পরাশক্তিদের। প্রথমবারের মতো খেলেছে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে। সবমিলিয়ে ৩৭টি ওয়ানডে, ৩৪টি টেস্ট এবং ২৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিক।
বাংলাদেশের সেরা সব জুটিতেই আছে মুশফিকের নাম। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের জুটি ৩৫৯ রান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আর তা এসেছে মুশফিক ও সাকিবের কল্যাণে। এছাড়াও বাংলাদেশের সেরা পাঁচ টেস্ট জুটির চারটিতে মুশফিকের অবদান আছে। এমনকি ওয়ানডেতেও মুশফিক চারটি দেড়শর অধিক রানের জুটিতে মাঠে ছিলেন।
তার অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ দল পাচ্ছে সাফল্য। এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এগিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকও।