ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

অলিম্পিকের জন্য নিরাপদ টোকিও

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২০, ২০:৩০

অলিম্পিকের জন্য নিরাপদ টোকিও

মহামারি আকার ধারন করা সত্বেও আগামী বছর অলিম্পিকের জন্য টোকিও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে দাবী জানিয়েছেন শহরটির গর্ভনর ইউরিকো কোইকে। প্রথমবারের মত স্থগিত হয়ে যাওয়া গেমসকে আগামী বছর নিরাপদে আয়োজনের জন্য তারা ১২০ ভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আগামী মাসে টোকিওর গর্ভনর পদে আবারো নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন কোইকে। বিশ্বব্যপী চলমান ভাইরাসের বিপক্ষে এই গেমসকে ‘মানুষের জয়ের প্রতীক’ হিসেবেই আয়োজনে টোকিও বদ্ধপরিকর বলে কোইকে বিশ্বাস করেন। একইসাথে তিনি স্বীকার করেছেন কোনভাবেই গেমসকে খাটো হতে তিনি দেবেন না।

বার্তা সংস্থা এএফপির সাথে এক সাক্ষাতকারে ৬৭ বছর বয়সী কোইকে বলেছেন, ‘গেমস পুনরায় আয়োজনের ব্যপারে আমি ১২০ ভাগ প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি। ’

যদিও পরিপূর্ণ আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি বলতে পারেননি কিভাবে বিশ্বের এই সর্বোচ্চ ক্রীড়া আসর নিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা জাপান করতে যাচ্ছে। করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরায় অলিম্পিকের ইতিহাসে প্রথমবারের মত টোকিও অলিম্পিক ২০২০ গেমস স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নতুন তারিখ অনুযায়ী ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে এই গেমস শুরু হবার কথা রয়েছে। তবে গেমসটি ২০২০ গেমস নামেই পরিচিত হবে। যদিও মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা আগামী বছরও এই গেমস নিরাপদে আয়োজনে নিয়ে যথেষ্ঠ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

জাপানীজ আয়োজক কমিটি ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ইতোমধ্যেই সতর্ক করে বলেছে আগামী বছর না হলে এই গেমস আয়োজন আর সম্ভব নয়। কোইকে বলেছেন ভাইরাসের শঙ্কা কাটিয়ে সুষ্ঠ ও নিরাপদে গেমস আয়োজনে তিনি পুরোপুরি আশাবাদী। বিদেশী এ্যাথলেট থেকে শুরু করে কর্মকর্তা, সমর্থক, গণমাধ্যমকর্মী সকলের জন্যই টোকিওকে নিরাপদ করে গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জাপান বেশ সফলতা লাভ করেছে। এ পর্যন্ত দেশটিতে ১৮ হাজারের মত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন ৯০০ জনের কিছু উপরে। যদিও অপেক্ষাকৃত কম পরীক্ষার কারনে জাপানকে নিয়ে বিশ^জুড়ে বেশ সমালোচনা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় সেখানে আক্রান্তের সংখ্যাও কম ধরা পড়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যা কম হওয়ায় সম্প্রতি জাপান থেকে জরুরী অবস্থা তুলে নেয়া হয়েছে। জাপান সরকার দাবী করেছে জনগনের মধ্যে সচেতনতা তৈরী হওয়া ও কঠোর সামাজিক বিধিনিষেধ মানার কারনেই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই কমে এসেছে।

কোইকে বলেছেন, ‘টোকিওর জনগণ জানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমে না আসলে আগামী বছর গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজন কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ কারনেই তারা নিজেরাই সতর্কতা অবলম্বন করেছে।’

জাপানীজ ও অলিম্পিক কর্মকর্তারা বারবারই বলেছেন করোনা পরিস্থিতি ভবিষ্যতে কোথায় যায় তা নিয়ে এখনই বলার সময় আসেনি। যে কারণে পুন:নির্ধারিত গেমস নিয়ে এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। তবে এই মুহূর্তে আয়োজন সহজতর করা ও ব্যয় কমানোই তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন কোইকে।

স্থগিত হয়ে যাওয়া গেমসের শেষ পর্যন্ত ব্যয় কত দাঁড়ালো তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে। বিলম্বিত হওয়ায় বেশ কিছু পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানও সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে একটি সার্ভেতে দেখা গেছে টোকিও গেমসের দুই তৃতীয়াংশ কর্পোরেট স্পন্সর নিজেদের প্রতিশ্রুতি টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে। যদিও কোইকে বলেছেন এখনো পৃষ্ঠপোষকদের জন্য এই গেমস হতে পারে একটি দুর্দান্ত সুযোগ। তিনি সকল পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রাখার ব্যপারে আহবান জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত