ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

টানা চতুর্থবারের মত বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১৭  
আপডেট :
 ০৩ অক্টোবর ২০২০, ১৯:৪৫

ফের বাফুফের নেতৃত্বে সালাউদ্দিন

টানা চতুর্থবারের মত বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন কাজী সালাউদ্দিন। সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন সালাম মুর্শেদী। কাজী সালাউদ্দিনের মতো তিনিও টানা চতুর্থবারের মতো সিনিয়র সহ-সভাপতি হলেন।

শনিবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত বাফুফের নির্বাচনে বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি। দুজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না, ভোট দেননি আরও দুজন।

জানা গেছে, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায়ের চেয়ে ৫৪টি ভোট বেশি পেয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। তার নামের পাশে ভোট পড়েছে ৯৪টি, বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট।

সভাপতি পদের তৃতীয় প্রার্থী সফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১টি ভোট। অন্যদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদেও নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তার নামের পাশে জমা পড়েছে ৯১ ভোট এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।

২০০৮ সালে প্রথমবার দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। সেবার তিনি হারিয়েছিলেন মেজর জেনারেল আমিন আহমেদেক। চার বছর পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন কিংবদন্তি ফুটবলার। ২০১৬ সালে সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো দেশের ফুটবলের সভাপতি পদে বসেন। শেষবার সালাউদ্দিন হারান কামরুল আশরাফকে। এবার জাতীয় দলের সাবেক দুই ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায় নির্বাচন করলেও কেউ পাত্তা পাননি তার সামনে।

এর আগের নির্বাচনের আগে সালাউদ্দিন বলেছিলেন, এটি হতে যাচ্ছে তার জন্য শেষ নির্বাচন। তবে এবারও তিনি নির্বাচন করে ফের বাফুফের দায়িত্ব নিলেন।

ফিফা র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ১৮৭ তে। গত বছরই যেখানে ছিল ১৯৭তে। কিন্তু সালাউদ্দিন দায়িত্ব নেবার আগে বিশ্ব ফুটবলে বাংলাদেশের র‍্যাংকিং ছিল ১৫০-এর নিচে। এরপর ধারাবাহিকভাবেই অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের।

নির্বাচনের আগে জাতীয় ফুটবল দলের জন্য ৩৬ দফা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে কাজী সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। সালাহউদ্দিনের ইশতেহারের আলোচিত অংশ হলো, তিনি আগামী চার বছরের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ছেলেদের অবস্থান ১৫০-এর কাছাকাছি ও মেয়েদের অবস্থান ৯০-এর কাছাকাছি নিয়ে আসতে চান।

ইশেতেহারে জাতীয় দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা, বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ নিয়মিত আয়োজন, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এসএ গেমসের শিরোপা পুনরুদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলের সুনির্দিষ্ট পঞ্জিকা প্রণয়ন, নির্ধারিত সময়ে দলবদল, জেলা ফুটবল লিগগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়োজন, বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ইশতেহারে।

কাজী সালাহউদ্দিনের দেওয়া গতবারের প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে শেরেবাংলা কাপ, সোহরাওয়ার্দী কাপ আয়োজন সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপও ছিল অনিয়মিত। নির্ধারিত সময়ে দলবদল ও বর্ষপঞ্জিকা অনুসরণ করতে পারেনি বাফুফে। এছাড়া একাডেমি, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জিমনেশিয়াম নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল, তার ২০২২ বিশ্বকাপ খেলার প্রতিশ্রুতি। যদিও সালাহউদ্দিন এটাকে 'ভুল বোঝাবুঝি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার দাবি, তিনি প্রতিশ্রুতির ৭৫ শতাংশ কাজ করতে পেরেছেন।

এবার চতুর্থবারের মত বাফুফের নেতৃত্ব কাজী সালাউদ্দিনের হাতে। সংশ্লিষ্টদের আশা, আগের সব ব্যর্থতা ভুলে নতুন উদ্যোমে বাংলাদেশ ফুটবলকে এগিয়ে নেন কাজী সালাউদ্দিনের প্যানেল।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত