৫ গোল হজম করেও জেমি বলছেন, ছেলেরা দারুণ খেলেছে
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:০৪
বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইয়ে কাতারের বিপক্ষে ০-৫ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এরপরেও শিষ্যদের পারফরম্যান্সে খুশি জেমি ডে। তিনি করোনা বিরতির পর অল্প প্রস্তুতিতে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জামালদের প্রচেষ্টাকে বাহবা দিয়েছেন।
‘ই’ গ্রুপের প্রিলিমিনারি রাউন্ডে এটিই (০-৫) বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হার। এর আগে ওমানের মাঠে ১-৪ গোলে হারটি ছিল সবচেয়ে বড়।
তবে ম্যাচ শেষে জেমি ডে বললেন, ‘কাতার এশিয়ার সেরা দল। তারা চার মাস ধরে অনুশীলন করছে। আমরা অনুশীলন করেছি পাঁচ সপ্তাহ। আগের ম্যাচে তারা শক্তিশালী কোরিয়ার বিপক্ষে খেলে এসেছে। আমি মনে করি, তাদের বিপক্ষে ছেলেরা দারুণ খেলেছে।’
পুরো ম্যাচ জুড়ে আসলে এদিন খেলেছে কাতার। বাংলাদেশকে শুধু রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। কোচের চোখে, ‘কাতারের মতো বলের নিয়ন্ত্রণ এবং টেকিনিক্যাল সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে ছেলেরা শতভাগ দিয়েছে।’
কোচ আলাদা করে প্রশংসা করেছেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর। ক’দিন আগেই নেপাল সিরিজে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে তার। নিয়মিত গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে বাইরে রেখে বসুন্ধরা কিংসের এই গোলরক্ষককে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেন জেমি।
কোচ নিজের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রশংসায় ভাসান জিকোকে, ‘আমি মনে করি জিকোকে খেলিয়ে আমি ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অবিশ্বাস্য এবং বিশ্বমানের কিছু সেভ করেছে।’ তবে হারের ব্যবধানটা ৪-০ হলে ভালো হতো বলে মন্তব্য করেন জেমি।
অন্যদিকে, ৫ ম্যাচ খেলে ১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে তথা সবার নিচে রয়েছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্বের কাতার বিপক্ষে এর আগেরবারের দেখায় বাংলাদেশ হেরেছিল ২-০ গোলে। সেই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এদিন কাতারের রাজধানী দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে স্বাগতিক দলের আহমেদ আলার একটি আক্রমণ সাইড বারে লেগে প্রতিহত হয়। বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।
আজ খেলায় নবম মিনিটে ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় কাতার। ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে তা বাংলাদেশের জালে পৌঁছে দেন আব্দুল আজিজ হাতেম। দশম মিনিটে কাতারের আরেকটি আক্রমণ প্রতিহত করেন বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকু। ২৫তম মিনিটে কাতারের আব্দুল করিমের একটি আক্রমণ সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান।
৩৩তম মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে ফার পোস্ট লক্ষ্য করে কোনাকুনি শটে গোলটি করেন আকরাম আফিফ। বাংলাদেশের গোলরক্ষক ঝাপিয়ে পড়লেও গোল বাঁচাতে পারেননি।
ম্যাচে বারবার কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের গোলরক্ষক আনিসুরকে। বিরতির পরপরই তিনি কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ৫১তম মিনিটে তিনি কাতারের আরেকটি আক্রমণকে প্রতিহত করেন। ৫৮তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন বাংলাদেশ দলের বিশ্বনাথ ঘোষ।
আরো পড়ুন: কাতারের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হারল বাংলাদেশ
৬৫তম মিনিটে লাফিয়ে উঠে বলতে গেলে একটি নিশ্চিত গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন আনিসুর। ৭২তম মিনিটে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় কাতার। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন আলমোয়েজ আলী।
৭৮তম মিনিটে আলমোয়েজ আলী নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে কাতারকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন। অতিরিক্ত সময়ে (৯০+২ মিনিট) আরো একটি গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের মধ্যে বল পেয়ে বাংলাদেশের গোলরক্ষককে বোকা বানান আকরাম আফিফ।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে