ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

পচেত্তিনোর অধীনে পিএসজির প্রথম শিরোপা জয়

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:৩৬

পচেত্তিনোর অধীনে পিএসজির প্রথম শিরোপা জয়
পিএসজির শিরোপা জয়

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেইকে ২-১ গোলে পরাজিত করে এবারের ঘরোয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে পিএসজি। এর মাধ্যমে নতুন কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকে প্রথম শিরোপা উপহার দিল শিষ্যরা। কোচিং ক্যারিয়ারেও এটি পচেত্তিনোর প্রথম শিরোপা।

মাউরো ইকার্দির প্রথমার্ধের গোলের পর ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ৮৫ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি শিরোপা নিশ্চিত করেন। পচেত্তিনো বলেছেন, ‘আশা করছি আরো অনেক শিরোপা জিততে পারবো। কিন্তু প্রথম শিরোপা সব সময়ই বিশেষ কিছু। এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। আজ আমরা দারুণ একটি ম্যাচ খেলেছি।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফ্রান্সে সুপার কাপের সমকক্ষ। সাধারনত লিগ চ্যাম্পিয়ন ও ফরাসি কাপ বিজয়ীর মধ্যে মৌসুমের শুরুতে এই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। গত মৌসুমে দুটি শিরোপাই জিতেছিল পিএসজি। সে কারণে লিগ ওয়ানের রানার্স-আপ হিসেবে মার্শেইকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রতিপক্ষ হিসেবে সুযোগ দেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের ম্যাচটা দেরীতে অনুষ্ঠিত হলো।

লেন্সের মাঠে একটি জমাট লড়াইয়ে আশা করা হয়েছিল। বিশেষ করে সেপ্টেম্বরে লিগ ওয়ানে পিএসজিকে ১-০ গোলে পরাজিত করা মার্শেইর কাছ থেকে আরো বেশী চ্যালেঞ্জ আশা করেছিল সংশ্লিষ্টরা। ঐ ম্যাচটিতে দুই দল মিলিয়ে পাঁচজন লাল কার্ড দেখে মাঠত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। ইনজুরি টাইমের একটি ঘটনায় লাল কার্ড পাওয়া সব খেলোয়াড়দের মধ্যে নেইমারও ছিলেন। ম্যাচ শেষে মার্শেই সেন্টার ব্যাক আলভারো গঞ্জালেজের বিপক্ষে নেইমারকে জড়িয়ে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছিল।

তবে সব ছাপিয়ে কাল অবশ্য ভাল একটি ম্যাচের প্রত্যাশা সকলেই করেছিল। ইনজুরি কাটিয়ে প্রায় মাসখানেক পর বদলী খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে ফেরা নেইমারের উপরই ছিল সকল স্পট লাইট। জয়সূচক গোলটি করে তিনি পচেত্তিনোর আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন। ফরাসী চ্যাম্পিয়নদের হয়ে গত ১৩ ডিসেম্বর লিগ ওয়ানের শীর্ষ দল লিঁওর বিপক্ষে ১-০ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন নেইমার। যে কারণে প্রায় মাসখানেক তিনি বিশ্রামে ছিলেন।

২২ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও লিওনার্দো পারডেসের পাস থেকে ইকার্দি গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। সাত মিনিট পর অধিনায়ক মারকুইনহোসের লম্বা একটি পাস থেকে এমবাপ্পে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। তবে বিরতির ছয় মিনিট আগে ইকার্দি আর ভুল করেননি। আনহেল ডি মারিয়ার হেড মার্শেই গোলরক্ষক স্টিভেন মানডানডা রুখে দিলে ইকার্দি সেই সযোগে বল জালে জড়ান। ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরার পর আর্জেন্টাইন তারকার পিএসজির হয়ে এটি দ্বিতীয় গোল। প্রথমার্ধেই স্টপেজ টাইমে ইকার্দি ব্যবধান প্রায় দ্বিগুণ করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু তার বাম পায়ের শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে।

৬৫ মিনিটে ডি মারিয়ার স্থানে বদলী বেঞ্চ থেকে মাঠে নামেন নেইমার। মার্শেইর বদলী গোলরক্ষক ইয়োহান পেলে ইকার্দিকে ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি উপহার পায় পিএসজি। স্পট কিক থেকে ৮৫ মিনিটে দলকে শিরোপা উপহার দেন নেইমার। ম্যাচ শেষের এক মিনিট আগে দিমিত্রি মার্শেইর হয়ে এক গোল পরিশোধ করলেও তা আন্দ্রে ভিয়াস-বোয়াসের দলের জন্য শুধু সান্ত্বনা হয়েই থেকেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/টিআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত