ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

রকিবুলের কাছে ক্ষমা চাইবেন সুজন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২১, ২০:০৬

রকিবুলের কাছে ক্ষমা চাইবেন সুজন

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসির ম্যাচ রেফারি বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের বিরুদ্ধে। এজন্য তাকে ক্ষমা চাইতে গত ৭ মার্চ লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। আইনজীবীর মাধ্যমে ওই নোটিশের জবাব দিয়েছেন সুজন। তাতে তিনি ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ উল্লেখ করে ছোট ভাই হিসেবে দেখা করে ক্ষমা চাইবেন বলে জানিয়েছেন।

শনিবার বিষয়টি সাংবাদিকের নিশ্চিত করেন লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী মো. আবু তালেব।

লিগ্যাল নোটিশে খালেদ মাহমুদ সুজনের পক্ষে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী স্বাক্ষরিত জবাবে বলা হয়েছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দেশের সাবেক ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেটি ছিল অপ্রত্যাশিত। সিনিয়র ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে উদ্দেশ্য করে ওই ঘটনা ঘটেনি। তারপরেও উনার সাথে যে অনাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তার সাথে দেখা করে সেই ভুল বোঝাবুঝির জন্যে আমি উনার ছোট ভাই হিসেবে ক্ষমা প্রার্থনা করবো।

এর আগে গত ৭ মার্চ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসির ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানকে মারতে যাওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনকে লিগ্যাল (আইনি) নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে তাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দেশের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত লিজেন্ডস চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র ক্রিকেটার রকিবুল হাসানকে মারার উদ্দেশ্যে তার দিকে তেড়ে যান খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজনের এমন আচরণে অনেকেই অবাক হয়েছেন। অনেকে এগিয়ে গিয়ে সুজনকে আটকানোর চেষ্টা করেন। তাকে আটকাতে বেশ বেগই পেতে হয়েছে। এর মধ্যেই এই বোর্ড পরিচালক রাগ আটকাতে না পেরে উপড়ে ফেলেন মাঠের পাশে থাকা স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের ছোট্ট ছাউনি।

এ ব্যাপারে রকিবুল হাসান বলেছেন, আমি যেহেতু টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান তাই বলেছি অন্য জায়গায় খেলা আয়োজনের জন্য। আইনের মধ্যে যা আছে তাই বলেছি। কিন্তু আমি হতাশ সুজনের এমন মারমুখি আচরণে।

নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী বলেন, সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি খালেদ মাহমুদ সুজনের থেকেও জ্যেষ্ঠ ক্রিকেট অধিনায়ক। তাকে অপমানের ঘটনা আমার নজরে এসেছে। এ কারণে আমি সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। নোটিশে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চাইতে বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছিল। অন্যথায় এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি আমার কাছে ওই নোটিশের জবাব দাখিল করেছেন তার আইনজীবীর মাধ্যমে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত