ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেনফিকার কাছেও পাত্তা পেলো না বার্সা

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:০৬

বেনফিকার কাছেও পাত্তা পেলো না বার্সা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার দুঃস্বপ্নের নাম বায়ার্ন মিউনিখ। জার্মানির এই দলটির বিপক্ষে খেলতে নামলেই যেন পরাজয় তাড়া করে ফেরে। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নাম এবং সেটি হলো বেনফিকা।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে পর্তুগালের দলটির কাছে বার্সেলোনা হেরেছে ৩-০ গোলে। মূলত বেনফিকার এ মাঠেই বায়ার্ন মিউনিখের কাছে সেই দু:সহ স্মৃতির ৮-২ গোলে হার মেনেছিল বার্সেলোনা। আর এ কারণেই বেনফিকার এস্তাদিও দে লুজে সবশেষ ম্যাচটা তো কাতালান দলটির ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য হারই হয়ে আছে।

বায়ার্নের কাছে সেই কুখ্যাত ৮-২ ব্যবধানে দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার মাঠটাতেই রাতে আবার ফিরেছিল বার্সা। ফলটা তেমন কুখ্যাত না হয়নি ৷ তবে এ ম্যাচটার স্মৃতিও নিশ্চয়ই বার্সা-ভক্তরা ভুলেই যেতে চাইবেন। এবার যে বেনফিকার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের দল! তাতে প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হলো দলের। বেনফিকার মাঠে ধাতস্থ হয়ে ওঠার আগেই বার্সেলোনা হজম করে বসে এক গোল। এরপর দলটা হয়ে গেল এলোমেলো। স্বাগতিক বেনফিকা ফায়দা তুললো সেটারই। লিসবনে বার্সার রাতটা যে একটুও ভালো কাটেনি, সেটা স্কোরলাইন দেখেই বুঝে যাওয়া চলে। ৬০ শতাংশ সময় বলের দখল বাদে যে বার্সার পক্ষে যায়নি কোনো কিছুই!

৩-৫-২ ছকে কোচ কোম্যান খেলছিলেন আদতে পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়ে। তিন সেন্টারব্যাক এরিক গার্সিয়া, জেরার্ড পিকে, আর রোনাল্ড আরাওহো, সঙ্গে দুই উইংব্যাক হিসেবে ছিলেন সার্জি রবার্তো আর সার্জিনিও ডেস্ট। মাঝমাঠে কোম্যানের চির আস্থার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, সার্জিও বুসকেটস, আর পেদ্রি গনজালেস। আক্রমণে দুই ডাচ মেমফিস ডিপে আর লুক ডি ইয়ং।

পাঁচ ডিফেন্ডার নিয়েও বার্সা গোলটা হজম করল ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে। ডারউইন নুনিয়েজ বক্সে বল নিয়ে ঢুকতেই সহজে ড্রিবলিংয়ে এরিক গার্সিয়াকে ছিটকে দিলেন, এরপর মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগানের কাছের পোস্ট দিয়ে বলটা জড়ালেন বার্সার জালে। দুঃস্বপ্নের মাঠে দুঃস্বপ্নের মতো শুরু হয় কোম্যানের দলটির। এর কিছু পরেই বার্সার আরেকটা রক্ষণাত্মক ভুলে গোল পেয়েই গিয়েছিল বেনফিকা। তবে রোমান ইয়ারেমচুকের শটটা ঠেকিয়ে দেন টার স্টেগেন। তা না হলে পরাজয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতো!

এরপর বার্সা মাঝমাঠ দখল নিতে সক্ষম হয়। ফলে বদল দখলের দিক থেকে তারা এগিয়ে যায়। সুযোগও তৈরী করে দুটি। কিন্তু দুটোই লুক ডি ইয়ং তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। বিরতির পরই যেন আবার স্বাগতিকদের আধিপত্য ফেরে ম্যাচে। ৬৯ মিনিটে বেনফিকা তাতে পেয়ে গেল অনিশ্চয়তা দূর করে দেওয়া গোলটাও। হোয়াও মারিওর শট ব্লক হলেও রাফা সিলভা ঠিকই বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন।

মিনিট দশেক পর প্রতিপক্ষের ক্রসে হাত ছুঁইয়ে বেনফিকাকে পেনাল্টি উপহার দেন ডেস্ট এবং পেনাল্টি থেকে গোল করেন নুনিয়েজ ৷ এরপর থেকে বার্সার লক্ষ্যটা ছিল হারের ব্যবধান যেন আর না বাড়ে। গোল তারা আর না খেলেও ডিফেন্ডার গার্সিয়া লাল কার্ড দেখেন। যে কারণে তাদের লক্ষ্য হয়ে যায় কোন রকমে ম্যাচ শেষ করা। তারা সেটা করার জন্যই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে।

এ ম্যাচে বেনফিকার বিপক্ষে বার্সেলোনা যে রকম খেলেছে তা যেন কোচের কথারই ভবিষ্যতবাণী। কোম্যান আগেই বলেছিলেন এ দল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শীর্ষস্থানীয় দলগুলো সাথে পাল্লা দেয়া সম্ভব না। বায়ার্নের পর বেনফিকার কাছে হার তারই প্রমাণ দেয়।

বার্সেলোনার সামণে এখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ‍দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই পরাজয়। গোল হজম করেছে ছয়টি, করতে পারেনি একটিও। দলের এমন পারফরমেন্সর কারণে হয়তো কোম্যানের চাকুরী যাবে। নতুন কাউকে দেয়া হবে কোচের দায়িত্ব। তাতে দলের পারফরমেন্সের উন্নতি ঘটবে কিনা তা সময়েই বলে দেবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আইএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত