ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ম্যাচ শেষে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

  ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২১, ২০:৪২  
আপডেট :
 ২২ নভেম্বর ২০২১, ২২:০৮

ম্যাচ শেষে যা বললেন মাহমুদউল্লাহ

২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতের বিপক্ষে শেষ ৩ বলে বাংলাদেশের দরকার ছিলো ২ রান। কিন্তু সেই রানতো বাংলাদেশ সংগ্রহ করতে পারেই নাই বরং ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে স্বপ্ন ভাঙ্গে বাংলাদেশের। তবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের মতো আসর না হলেও একটি জয় দরকার ছিলো বাংলাদেশের। কিন্তু সেই জয়ও পেলো না টাইগাররা। বিশ্বকাপের মতো আজকে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে ছিলো না। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। বল হাতে আসলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই। প্রথম বলে কোন রান না দিইয়ে ওভার শুরু করেন রিয়াদ।

নিজের করা দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তানের একটি উইকেট তুলে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। তখনও জয়ের জন্য পাকিস্তানের দরকার ৪ বলে ৮ রান। তৃতীয় বলে আবারও পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানে রিয়াদ। এই উইকেট পরার পরে চাপে পরে পাকিস্তান। কিন্তু চতুর্থ বলে ছক্কা হাকিয়ে উল্টো বাংলাদেশ দলকে চাপে ফেলেন পাকিস্তান। কিন্তু নিজের করা পঞ্চম বলে আবারও উইকেট তুলে নেন রিয়াদ। তবে শেষ বলে আবারো বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। এ যেন সেই ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতোই।

ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জানান কিছুটা তো হার্টব্রেকিং। অলমোস্ট খুব ক্লোজে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হয়নি। আমার মন হয়, যদি দু-একটি ম্যাচ জেতা যেত, দলের আত্মবিশ্বাস আরও ভালো থাকত। যেরকম আমাদের ড্রেসিং রুমটা অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড সিরিজের সময় খুব উৎফুল্ল ছিলো। অবশ্যই ম্যাচ হারলে সব টিমমেটের খারাপ লাগে। অনেক সংশয় সৃষ্টি হয়। তবে ছেলেরা অনেক কষ্ট করেছে সবাই। এফোর্ট দিয়েছে। চেষ্টা করেছে জানপ্রাণ দিয়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ফল আমাদের পক্ষে আসেনি।

এদিকে যখন শেষ বলে পাকিস্তানের ২ রান দরকার তখন বল করেন রিয়াদ। কিন্তু অপর প্রন্তে থাকা ব্যাটার নওয়াজ শেষ সময়ে গিয়ে সরে দাঁড়ান, বলটি গিয়ে সরাসরি আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। কিন্তু নওয়াজ সরে দাঁড়ানোয় বলটকে ডেড বল বলে অতিবাহিত করেন আম্পেয়ার। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মৃদু আবেদন করা হয় আম্পায়ারদের কাছে। বোলারের করা ডেলিভারি পিচে ড্রপ করার পর আদৌ সরে দাঁড়াতে পারেন কি না ব্যাটার- তা জানতেই মূলত আম্পায়ারদের কাছে যান মাহমুদউল্লাহ-নুরুল সোহানরা।

আম্পায়ারদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হওয়ায় সেটি ডেড বলই মেনে নেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। পরে দ্বিতীয়বার শেষ বলে করে সেটিতে বাউন্ডারি হজম করেন মাহমুদউল্লাহ এবং বাংলাদেশ ম্যাচ হেরে যায় ৫ উইকেটের ব্যবধানে। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে আসে এই প্রসঙ্গ। যার প্রেক্ষিতে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, আম্পায়ারের সঙ্গে আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, ও (নওয়াজ) তো একদম শেষ পর্যায়ে গিয়ে সরে দাঁড়িয়েছে, তো এটা বৈধ বল ছিলো কি না। শুধু এটাই জিজ্ঞেস করছিলাম। এর বাইরে কিছু না। আম্পায়ার’স কল ইজ ফাইনাল এবং উই ডু রেসপেক্ট দা আম্পায়ার্স।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত