ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

হতাশার প্রথম দিন টাইগারদের

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪১  
আপডেট :
 ০১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৪৬

হতাশার প্রথম দিন টাইগারদের
সংগৃহীত

স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের ডারবানে প্রথম টেস্টের প্রথম সেশনটি টাইগারদের জন্য ছিল হতাশার। টাইগার বোলারদের হতাশায় পুড়তে হয়েছে প্রোটিয়াদের দাপুটে ব্যাটিংয়ে। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়াদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। বিপজ্জনক এলগারকে ফেরানোর সাথে সাথে তুলে নিয়েছে চারটি উইকেট।

তবে শেষ বিকেলের প্রোটিয়া প্রতিরোধে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি বাংলাদেশ দল। আলোক স্বল্পতায় খেলা হয়েছে ৭৬.৫ ওভার। এসময় ৪ উইকেটে প্রোটিয়ারা প্রথম দিন শেষ করেছে ২৩৩ রানে।

এর আগে সাইটস্ক্রিন ঝামেলায় ৩৫ মিনিট দেরিতে শুরু হওয়া খেলায় লাঞ্চের আগের সময়টা ছিলো শুধুই দক্ষিণ আফ্রিকার। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছেন দুই ওপেনার ডিন এলগার ও সারেল এরউই।

প্রথম সেশনে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ছিলো ২৫ ওভারে ৯৫ রান। বিরতির আগে মিরাজের বলে এরউইর ক্যাচ মিসের পর কোনো উইকেট না হারিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এছাড়া দ্বিতীয় সেশনে এবাদত কয়েকবার দারুণ লেংথে বল করলেও সাফল্য পাননি। পরে খালেদ আহমেদই এনে দেন ইনিংসের প্রথম সাফল্য। এবাদতকে রিপ্লেস করা খালেদ আহমেদ ফেরান ডিন এলগারকে।

খালেদের বাড়তি বাউন্সের বল হালকা সুইং করেছিল। এলগার তা বুঝতেই পারেননি! ফলাফল বল ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়েছে লিটন দাসের গ্লাভসে। ১০১ বল খেলা প্রোটিয়া অধিনায়ক ফিরেছেন ৬৭ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। শুরুর আঘাতে ভাঙে ১১৩ রানের জুটিও।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর সারেল এরউইর দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। মিরাজের বেশ বাইরের বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন এই ওপেনার। ১০২ বলে এরউই করেন ৪১।

ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছিলেন প্রোটিয়া দুই ব্যাটার কেগান পিটারসেন ও তেম্বা বাভুমা। থিতু হওয়ার চেষ্টা করছিলেন দুজনেই। এই সময় দ্রুত রান নেয়ার তাড়া দেখাতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তারা। পয়েন্টে বাভুমা তাসকিনের বল ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গেলে মিরাজের অসাধারণ ফিল্ডিংয়ে রানআউট হয়েছেন পিটারসেন। ডিরেক্ট হিটে ১৯ রানে থেমেছে এই ব্যাটারের ইনিংস।

তেম্বা বাভুমা অবশ্য এক প্রান্ত আগলেই খেলছেন। নতুন নামা রিকেলটনকে সঙ্গে নিয়ে ভালো কিছুর সম্ভাবনা দেখা গেলেও সেই জুটি স্থায়ী হয়নি। দারুণ বোলিং করা এবাদত হোসেনের বোলিংয়ে ভাঙে দুজনের ৩৪ রানের জুটি।

এবাদতের অফস্টাম্পের বাইরের বল টেনে পুল করতে গিয়েছিলেন টেস্টে অভিষেক করা রিকেলটন। বল টপ এজ হয়ে জমা পড়ে মিড অনে থাকা মুমিনুল হকের হাতে। তাতে ৪১ বলে ২১ রানে শেষ হয় প্রথম টেস্ট খেলতে নামা এই ব্যাটারের ইনিংস।

প্রোটিয়ারা শেষ বিকালে স্থায়ী জুটি গড়তে না পারার অস্বস্তি কাটিয়ে উঠে বাভুমা-ভেরিয়েনের ব্যাটেই রান ছাড়ায় দুইশ। পঞ্চম উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেন তারা। একপ্রান্ত আগলে বাভুমা তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৮তম ফিফটি। ক্রিজে আছেন ৫৩ রানে। তার সঙ্গী হওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন কাইল ভেরিয়েনে (২৭)।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত