ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন যারা

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৬:০০  
আপডেট :
 ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:১৮

বিপিএলে ব্যাট-বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন যারা
ছবি: সংগৃহীত

এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শত না পাওয়ার মধ্যেও অন্যতম প্রাপ্তি হলো দেশি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স। নবম আসরে ব্যাট হাতে সক্ষমতার প্রমাণ রেখেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিপিএলের ২০২৩ আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা পাঁচের সবাই বাংলাদেশি। বিপিএলের এবারের আসরে ব্যাটারদের পাশাপাশি বোলারদের সাফল্যও আকাশচুম্বি। অভিজ্ঞ অনেক বোলার ব্যর্থ হলেও নজর কেড়েছেন তরুণরা।

চলুন এক নজরে দেখে নেই বিপিএলের নবম আসরের সেরা ৫ ব্যাটারের তালিকায় যারা আছেন

১. সিলেট স্টাইকার্সে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। আসরে ১৫টি ম্যাচ খেলে এই ব্যাটার করেছেন ৫১৬ রান। শান্তর স্ট্রাইকরেট ১১৬ দশমিক ৭৪। যদিও আধুনিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সঙ্গে মানানসই নয়। তবে বিপিএলে তিনি নিয়মিত ব্যাট হাতে রান করেছেন, এটাই শান্তর জন্য স্বস্তির বিষয়। তামিম ইকবালকে ছাড়িয়ে এখন বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।

২. রংপুর রাইডার্সের ব্যাটার রনি তালুকদার। ১৩ ম্যাচ খেলে ৪২৫ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। রনির স্ট্রাইকরেট ১২৯.১৭। আসরে কোনো সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও তিনটি ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে।

৩. সিলেটের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়। বিপিএলের শুরুটা দুর্দান্ত করলেও চোটের কারণে কয়েকটি ম্যাচ খেলা হয়নি হৃদয়ের। তবে ম্যাচ কম খেললেও হৃদয়ের স্ট্রাইকরেট ছিল ইর্ষণীয়। ১৪১.৪১ স্ট্রাইকরেটে ১৩ ম্যাচে হৃদয়ের রান ৪০৩। যদিও বিপিএল ফাইনালে ব্যাট হাতে আলো দ্যুতি ছড়াতে পারেননি হৃদয়।

৪. কুমিল্লার ব্যাটার লিটন দাস। ১৩ ম্যাচে ১২৯.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৭৯ রান করেছেন লিটন। চলতি আসরের শুরুতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও প্লে-অফে নিজের কারিশমা দেখালেন লিটন।

৫. ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলকে ফাইনালে না তুলতে পারলেও ব্যাট হাতে সাকিব নিজের জাত চিনিয়েছেন। ১৩ ম্যাচে ১৭৪.৪১ স্ট্রাইকরেটে সাকিবের রান ৩৭৫। এলিমিটেরে রংপুরের কাছে ৪ উইকেটে হেরে শেষ হয়ে যায় বরিশালের ফাইনালের যাওয়ার স্বপ্ন।

চলুন এক নজরে দেখে নেই বিপিএলের নবম আসরের সেরা ৫ বোলারের তালিকায় যারা আছেন

১. কুমিল্লার স্পিনার তানভীর ইসলাম। কুমিল্লার চতুর্থ শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এই স্পিনার। বাঁহাতি এই স্পিনার ৬.৩৬ ইকোনমিতে এবারের বিপিএলে ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন।

২. রংপুর রাইডার্সের পেসার হাসান মাহমুদ। ৭.৯৮ ইকোনমিতে ১৪ ম্যাচ খেলে ১৭ উইকেট নিয়েছেন হাসান। যদিও এমন দুর্দান্ত বোলিং করেও দলকে ফাইনালে তুলতে পারেননি। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সিলেটের কাছে ১৯ রানে হেরে বিদায় নেয় রংপুর।

৩. ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ৬.৮১ ইকোনমিতে ১২ ম্যাচ খেলে ১৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। এবারের বিপিএল ব্যাট হাতেও দুর্দান্ত সময় পার করেছেন নাসির।

৪. রংপুর রাইডার্সের বোলার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৭.১৭ ইকোনমিতে ১১ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়েছেন এই আফগান বোলার। রংপুরের প্লে-অফে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

৫. সিলেটের পেসার রুবেল হোসেন। ফাইনালে খরুচে রুবেল ৮.৫২ ইকোনমিতে ৮ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও কম্বিনেশনের মারপ্যাচে বেশকিছু ম্যাচে একাদশেই সুযোগ পাননি রুবেল।

নাসির-তানভীররা নিজেদের বল হাতে প্রমাণ করলেও জাতীয় দলের তারকা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান এবারের আসরে ছিলেন অনেকটাই বিবর্ণ। যদিও গত বিপিএলে কুমিল্লার শিরোপা জয়ে মোস্তাফিজের অবদান ছিল অসামান্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/জিকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত