ঢাকা, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে গুড়িয়ে ফাইনালে চেন্নাই

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ০০:২৮  
আপডেট :
 ২৪ মে ২০২৩, ০১:২৯

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে গুড়িয়ে ফাইনালে চেন্নাই
গুজরাটের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের জয়ের মুহূর্ত । ছবি: ইএসপিএন

আইপিএলে রেকর্ড সংখ্যক দশমবার ফাইনাল খেলতে মাঠে নামে চেন্নাই সুপার কিংস। প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটান্স। এর আগে তিন সাক্ষাতের তিনটিতেই গুজরাতের বিরুদ্ধে হেরেছিল ধোনিরা। তবে এবার সব ইকুয়েশন বদলে গুজরাটকে নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে প্রথমবার হারের তিক্ত স্বাদ দিল চেন্নাই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে ১৫ রানে দুরন্ত জয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেল চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট চলতি আইপিএলের শুরুটা চেন্নাইকে হারিয়েই করেছিলো। কিন্তু প্লে-অফের লড়াইতে পিছিয়ে পড়লো তারা। আগাগোড়া টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েছেন হার্দিক, শুভমানরা। লীগ শীর্ষে থেকে অর্জন করেছেন শেষ চারের যোগ্যতা। কিন্তু কথায় বলে ‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে’। সেটাই করে দেখালো চেন্নাই। মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ হাসি হাসলো মহেন্দ্র সিং ধোনির সিএসকে।

পরাস্ত হওয়ায় শুক্রবার আমেদাবাদে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলতে হবে গুজরাট টাইটান্সকে। সেই ম্যাচে হার্দিকদের প্রতিপক্ষ হবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অথবা লখনউ সুপার জায়ান্টস।

মঙ্গলবার (২৩ মে) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংস করে ৭ উইকেটে ১৭২ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটান্স ২০ ওভারে ১৫৭ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। ১৫ রানে ম্যাচ জিতে আইপিএল ২০২৩-এর ফাইনালে জায়গা করে নেয় চেন্নাই।

ম্যাচ শেষে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও হার্দিক পান্ডিয়া । ছবি: ইএসপিএন

এদিন, আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চেন্নাই ইনিংসকে ভরসা যুগিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। টাইটান্সদের বিরুদ্ধে ঋতুরাজের পারফর্ম্যান্স বরাবরই ভালো। আজকেও চোখধাঁধানো অর্ধশতক দেখা গেলো তার ব্যাট থেকে। কনওয়েও করেন ৪০ রান। তবে ওপেনিং জুটি মোহিত শর্মার বলে ভাঙার পরেই সমস্যার মুখে পড়তে হয় চেন্নাইকে। ম্যাচের রাশ হাতে তুলে নেন গুজরাত বোলার’রা। শামি, রশিদ খান, নূর আহমেদ, মোহিত শর্মাদের দাপটের সামনে বিশেষ সুবিধা করতে পারেন নি রাহানে, রায়ডু, ধোনিরা। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৬০, রবীন্দ্র জাদেজার ১৬ বলে ২২ রানের ইনিংস তাদের পৌঁছে দেয় ১৭২ রানে।

মোহাম্মদ শামি ও মোহিত শর্মা দুটি করে এবং দর্শন নালকণ্ডে, রশিদ খান ও নূর আহমেদ একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।

জয়ের জন্য ১৭৩ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন গুজরাত টাইটান্সের ব্যাটাররা। পিচের চরিত্র অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাশ নিজেদের হাতে রেখে জয় ছিনিয়ে নিল ধোনিবাহিনী। শেষের দিকে রশিদ খান নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং চালালেও তা গুজরাতকে জেতানোর পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।

টানা দুটি ম্যাচে শতরানকারী শুভমান গিল করেন ৩৮ বলে ৪২ রান। ঋদ্ধিমান সাহা ১১ বলে ১২, অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া ৭ বলে ৮, দাসুন শনাকা ১৬ বলে ১৭, ডেভিড মিলার ৪ বলে ৬, রাহুল তেওয়াটিয়া ৫ বলে ৩ রান করেন।

৭২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়েছিল ১০.৩ ওভারে। ১৪.৩ ওভারে স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৯৮। দীপক চাহার ৪ ওভারে ২৯, মাহিশ থিকশানা ৪ ওভারে ২৮ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।

১৩৬ রানে সপ্তম ও অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে। শেষ ২ ওভারে ৩৫ রান দরকার ছিল গুজরাতের। সুব্রহ্মণ্যম বদ্রীনাথ তার আগেই টুইটে লেখেন, ধোনির ক্যাপ্টেন্সিতে ১৭৩ রানকেও ১৮৫ মনে হয়। ১৮.৩ ওভারে রশিদ খান তিনটি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১৬ বলে ৩০ রান করে তুষার দেশপাণ্ডের শিকার হন। ১৪২ রানে নবম উইকেটের পতন ঘটে। শেষ বলে ১৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায় গুজরাত।

মাথিশা পাথিরানা ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। চার ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন তুষার দেশপাণ্ডে।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত