ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৮, ২০:০১

ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ

শুরুতে লুইসের ব্যাটিং ঝড় ও পরে টাইগারদের কার্যকরী বোলিংয়ে ১৯.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ১৯০ রান। ফলে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৯১ রান।

১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিবিয় পেস সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে ওপেনার তামিম ইকবালকে। তবুও সাবধানী খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তামিম(৮)।

পঞ্চম ওভারে ফাবিয়ান অ্যালেন মাঠে নামলে আঘাত হানেন লিটন-সৌম্য জুটিতে। সৌম্য মেরে খেলতে গিয়ে জমা পড়েন কটরেলের হাতে। পরের বলে নতুন নামা সাকিবকেও কট্রেলের ক্যাচ বানান অ্যালেন। তাতে দারুণ শুরুতে অস্বস্তিতে পড়ে যায় বাংলাদেশ। পরের ওভারে কিমো পল বোলিংয়ে আসলে তুলে নেন মুশফিকুর রহিমকে। তার বিদায়ে বরং বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।

ব্যর্থতার মিছিলে যোগ দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিমো পলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ব্রাফেটের হাতে ক্যাচ দেন ৯ বলে ১১ রান করা মাহমুদউল্লাহ। টাইমিংয়ে গড়বড় করে উইকেট হারিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

দশম ওভারে পলের বলে মিড অফে ব্রাথওয়েটের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন লিটন দাস। দলীয় ৮৯ রানে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে ফিরলেন তিনি। দলীয় স্কোরকার্ডে কোন রান যোগ না হতেই পলের বলে রাদারফোর্ডের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন আরিফুল।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০.৪ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯০ রান।

সিরিজ জয়ের মিশনে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাগতিক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচটি শুরু হয়েছে বিকাল ৫ টায়।

উইন্ডিজদের উদ্বোধনী জুটিতে নেমেছেন শাই হোপ এবং এভিন লুইস। শুরুতেই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মেতে উঠেছেন দুই ওপেনার। ১৯ বলে দলীয় ফিফটি তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার এভিন লুইস ও শাই হোপ। পরে মাত্র ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরির দেখা পান লুইস। এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। কিন্তু নিজের প্রথম ওভারেই হোপের উইকেট তুলে নিয়ে ঝড়ের বেগ কিছুটা কমিয়ে দেন সাকিব আল হাসান। ১২ বলে ২৩ করা হোপকে বোল্ড করেন সাকিব। এরপর লুইসের সাথে ১৪ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ২ রানে মোস্তাফিজের বলে আরিফুলের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন কেমো পল।

এরপরে আরো দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন লুইস। অবশেষে দলীয় ১২২ রানে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ে আনলেন সাকিব। এসেই বাজিমাত। নিজের দ্বিতীয় বলে বোল্ড করলেন ভয়ঙ্কর লুইসকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৬ বলে ৬ চার ও ৮ ছক্কায় নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৮৯ রান। এরপরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান হেটমেয়ারকে ফেরালেন এলবির ফাঁদে ফেলে।

দলীয় ১৫৯ রানে সেই মাহমুদউল্লাহর বলেই লিটন দাসের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন পাওয়েল। সাজঘরের ফেরার আগে ১৬ বলে ১৯ রান তুলেছেন তিনি। দলীয় ১৭৬ রানে মোস্তাফিজকে মারতে গিয়ে রনির তালুবন্দী হন নিকোলাস পুরান। ২৪ বলে ২৯ রান করেছেন এই ব্যাটসম্যান। একই ওভারের শেষ বলে ফিজের দুর্দান্ত অফকাটারে পরাস্ত হলেন ব্রাথওয়েট। মিরাজের ক্যাচ হয়ে ফেরার আগে মাত্র ১ রান করেছেন টি-টোয়েন্টির মারমুখী এই ব্যাটসম্যান।

১৯তম ওভারে সাকিব ফিরিয়ে দেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে। স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ে ৮ রানে বিদায় হন তিনি। একই ওভারে অভিষিক্ত শেরফানে রাদারফোর্ডকেও বিদায় করেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহর করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রানআউট হন ওশানে থমাস।

এর আগে সিলেটে প্রথম ম্যাচে বাজে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৬ রানের দাপুটে জয়ে সিরিজে সমতা পেয়েছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-উইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে বছরের শেষ ম্যাচ। উইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি জিতলেই হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়ের আনন্দে ভাসবে টাইগাররা।

সিলেটের একাদশ নিয়েই মিরপুরের মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ এবং উইন্ডিজ। শেষ ম্যাচে উইন্ডিজরা ড্যারেন ব্রাভোর জায়গায় দলে এনেছে শেরফানে রাদারফোর্ড। এটাই তার অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অন্যদিকে বাংলাদেশ একই একাদশ রেখে দিয়েছে।

বাংলাদেশ একাদশ:

তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, আরিফুল হক, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মেহেহি হাসান মিরাজ, আবু হায়দার, মোস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ:

এভিন লুইস, শাই হোপ (উইকেটরক্ষক), নিকোলাস পুরান, শেরফান রাদারফোর্ড, শিমরন হেটমায়ার, রোভম্যান পাওয়েল, কার্লোস ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), কেমো পল, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ওশানে টমাস, শেলডন কোটরেল।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত