ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

সুপার ওভারে চিটাগংয়ের নাটকীয় জয়

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৪  
আপডেট :
 ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:১৩

সুপার ওভারে চিটাগংয়ের নাটকীয় জয়

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে শেষপর্যন্ত সুপার ওভার খেলতে হল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের। সুপার ওভারে ভাইকিংসের ১২ রানের জবাবে ১০ রানেই থামতে হল খুলনা টাইটানসকে। ফলে বিপিএলের এগারোতম ম্যাচে নাটকীয় জয় পেল মুশফিকের চিটাগং ভাইকিংস। এর আগে টসে হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে গেছে ভাইকিংস। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ বলে ১৯ রান। নাঈমের এক ছক্কা ও ফ্রাইলিঙ্কের পরপর দুটি ছক্কায় সমতায় আসে ভাইকিংস। এরপর সুপার ওভার দিয়েই মীমাংসা হয় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের।

নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ভাইকিংসের আমন্ত্রণে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন পল স্টার্লিং এবং জুনায়েদ সিদ্দীকি। স্টার্লিং ১০ বলে ১৮ আর জুনায়েদ ১৫ বলে করেন ২০ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালান ৪৩ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কায় করেন ৪৫ রান। দলপতি মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে চারটি বাউন্ডারিতে করেন ৩৩ রান। কার্লোস ব্রাথওয়েইট ইনজুরি থেকে ফিরে করেন ৫ বলে ১২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬, আরিফুল হক ৯* আর অভিষিক্ত মাহিদুল অঙ্কন করেন ৪* রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা।

ভাইকিংসের পেসার রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। সানজামুল ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি, নাঈম হাসান ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি, খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি আর আবু জায়েদ ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন।

১৫২ রানের জবাবে নামেন ভাইকিংসের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শাহজাদ ১০ আর ডেলপোর্ট ১৭ রানে বিদায় নেন। এরপর ইয়াসির আলি খেলেন ৩৪ বলে দুটি চার আর দুটি ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস। দলপতি মুশফিক ২৬ বলে একটি বাউন্ডারি আর দুটি ওভার বাউন্ডারিতে করেন ৩৪ রান।

সিকান্দার রাজা সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন শুন্য রানে। মোসাদ্দেক হোসেন সাজঘরে ফেরেন ১২ রানে। শেষ ওভারে ১৯ রানের দরকার হয় ভাইকিংসদের। মাহমুদউল্লাহ বল তুলে দিলেন আরিফুলের হাতে। প্রথম বলে নাঈম হাসান কোনো রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তৃতীয় বলে আউট হন নাঈম। চতুর্থ বলে আরিফুলকে ছক্কা হাঁকান রব্বি ফ্রাইলিঙ্ক। পঞ্চম বলেও ছক্কা হাঁকিয়ে জেতার অপেক্ষায় থাকেন তিনি।

শেষ বলে এক রান দরকার ছিল ভাইকিংসের। সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফ্রাইলিঙ্ক আরিফুলের শেষ ডেলিভারিটি ব্যাটেই লাগাতে পারেননি, এমনকি উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বল জমা হলেও জয়ের জন্য সিঙ্গেল রান নিতে পারেননি তিনি। অপর প্রান্তে পৌঁছানের আগেই রান আউট হন ১৩ বলে ২৩ রান করা ফ্রাইলিঙ্ক। ৮ উইকেট হারিয়ে খুলনার সমান ১৫১ রান করে ভাইকিংস। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় একটি উইকেট তুলে নেন জুনায়েদ খান। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট। শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে নেন দুটি উইকেট। তাইজুল ইসলাম ৪ ওভারে ২৩ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট। আরিফুল হক শেষ ওভারটি করে ১৮ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।

এরপরেই শুরু হয় বিপিএলের প্রথম সুপার ওভার। এই ওভার করতে আসেন খুলনার জুনায়েদ খান। প্রথম বলে ভাইকিংসের ব্যাটসম্যান ক্যামেরুন ডেলপোর্ট বাউন্ডারি হাঁকান। দ্বিতীয় বলে নেন সিঙ্গেল রান। তৃতীয় বলে ফ্রাইলিঙ্ক চার মারেন। চতুর্থ বলে আউট হন তিনি। পঞ্চম বলে মুশফিক সিঙ্গেল নেন। জুনায়েদের শেষ বলে সিঙ্গেল নেন ডেলপোর্ট। সুপার ওভারে ভাইকিংসরা তোলে ১১/১।

সুপার ওভারে ১২ রানের টার্গেট পায় খুলনা। বোলিংয়ে আসেন ফ্রাইলিঙ্ক, ব্যাটিংয়ে নামেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট এবং ডেভিড মালান। প্রথম বলে ব্রাথওয়েইট সিঙ্গেল নেন। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি পান মালান। তৃতীয় বলে ডাবল নেন তিনি। চতুর্থ বলে রানআউট হন ব্রাথওয়েইট। পঞ্চম বলে ডাবল রান নেন পল স্টার্লিং। শেষ বলে খুলনার জয়ের জন্য দরকার হয় ৩ রান। অতিরিক্ত থেকে আসে ১ রান, ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন স্টার্লিং। নির্ধারিত সুপার ওভারে ১০ রানেই থামতে হয়েছে খুলনাকে। তাই জমজমাট এই ম্যাচে জয় তুলে নেয় মুশফিকের ভাইকিংস।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত