ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

সিলেটকে উড়িয়ে কুমিল্লার সহজ জয়

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৩

সিলেটকে উড়িয়ে কুমিল্লার সহজ জয়

বিপিএলের সিলেট পর্বে স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্সকে উড়িয়ে সহজ জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ঢাকা পর্ব শেষে সিলেটে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক সিলেট আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রান তুলেই গুটিয়ে যায়। জবাবে, মাত্র ১১.১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লা জয়ের বন্দরে পৌঁছে।

ঘরের মাটিতে ফিরেই যেন পর হয়ে গেল সিক্সার্স। বিপিএলের সিলেট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লার সামনে অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়েছে সিক্সার্সদের। মেহেদি-ওয়াহাবের বোলিং তোপে ১৪.৫ ওভারে ৬৮ রানেই গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা। যেখানে সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে কাপালির ব্যাট থেকে। ৩১ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কায় করেন অপরাজিত থাকেন তিনি। বাকি ব্যাটসম্যানের কেউই পার হতে পারেননি দুই অঙ্কে। ৬৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৩ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এর আগে কুমিল্লার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই মহাবিপর্যয়ে পড়েছে সিক্সার্সের ব্যাটসম্যানরা। টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসানের ঘূর্ণিতে ২২ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই রীতিমত বিধ্বংসী চেহারায় হাজির মেহেদী। প্রথম বলে তাকে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করেছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার।

পরের বলেই দারুণ ঘূর্ণিতে ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে দেন মেহেদী। তৃতীয় বলে লিটন দাস নেন এক রান। পরের দুই বলে আবারও ঝলক। চতুর্থ বলে বোকা বনে বোল্ড ডেভিড ওয়ার্নার। পঞ্চম বলে ডিফেন্ড করেও এলবিডব্লিউ আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষ বলটি থেকে নিকোলাস পুরান কোনো রান নিতে পারেননি।

সেই নিকোলাস পুরানকে পরের ওভারে শুন্যরানে ফেরান সাইফুদ্দিন। দলীয় ১৫ রানে ডসনের বলে বিদায় নেন লিটন দাস। স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই ব্যক্তিগত ৬ রানে ডসনের বলে এলবির শিকার হন সাব্বির। দলীয় ২২ রানে সেই মেহেদির হাতেই ধরা দেন সোহেল তানভীর।

দলীয় ৪৫ রানে ওয়াহাবের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরেছেন তাসকিন। স্কোরকার্ডে ২ রান যোগ হতেই ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড নাবিল সামাদ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ৬৮ রানে ওয়াহাবের বলে বোল্ড হন আল-আমিন।

৪ ওভার শেষে ২২ রান খরচায় চারটি উইকেট পান মেহেদি। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে পান একটি উইকেট। ওয়াহাব রিয়াজ ২.৫ ওভারে ১৫ রান খরচায় নেন তিনটি উইকেট। লিয়াম ডসন ৩ ওভারে ৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। শহীদ আফ্রিদি ১ ওভারে ৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি।

৬৯ রানের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লার অবস্থাও হয়েছে ঠিক সিলেটের মত। স্কোরকার্ডে ১ রান যোগ হতেই রানআউটের শিকার হয়ে ফিরেছেন আনামুল।

এরপর দলীয় ১০ রানে তামিমও ফিরেছেন শুন্যহাতে। এরপর ইমরুল-শামসুরের ব্যাটে জয় নিশ্চিত হল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। শামসুর ৩৪ রানে ও আনামুল অপরাজিত ৩০ রানে।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত