ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়

  স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৫  
আপডেট :
 ১৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫১

রংপুরের রোমাঞ্চকর জয়

অবশেষে জয়ের দেখা পেল মাশরাফির রংপুর রাইডার্স। ৭ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয়স্থানে অবস্থান করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অপরদিকে, ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ৫ হারে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখেছে সিলেট। সিলেটের ১৯৫ রানের টার্গেটে ৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করলো গেইল-রুশোরা।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২১তম ম্যাচে টসে জিতে সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এই ম্যাচ দিয়েই বিপিএল অভিষেক হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের।

বিপিএলের চলতি আসরে প্রথম বারের মত দেখা গেল মারকুটে সাব্বির রহমানকে। এতদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও আজ তার ব্যাট থেকেই এসেছে বিস্ফোরক ইনিংস। ঝড়ো ইনিংস খেলে মাশরাফির রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সিলেটকে সংগ্রহ এনে দিয়েছেন ১৯৪ রানের সংগ্রহ, যা এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার লিটন দাসের উইকেট হারায় সিলেট। এরপর ব্যাট হাতে রংপুরের বোলারদের তুলোধুনা করেন সাব্বির। মাত্র ৫১ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেট সমৃদ্ধ এই ইনিংস খেলার পথে ৫ চার ও ৬ ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

এই ম্যাচটিই বিপিএলে সিলেট অধিনায়ক ওয়ার্নারের শেষ ম্যাচ। এদিন ব্যাট হাতে ২১ বলে ১৯ রান করে মাশরাফির শিকার হয়ে ফিরেছেন। এর আগে ১৯ রান করে রানআউটের খাড়ায় কাটা পড়ে বিদায় নেন আফিফ হোসেন।

এরপর সাব্বিরের সাথে যোগ দেন নিকোলাস পুরান। দুইজনের মারমুখি ব্যাটিংয় দ্রুত রান উঠতে থাকে সিলেটের স্কোরবোর্ডে। সাব্বির-পুরান জুটিতে আসে ৮২ রান। এরপরই আউট হয়ে যান সাব্বির।

ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে থামে সাব্বিরের তাণ্ডব। তার আগে ৬টি ছক্কা ও ৫টি চারে সাজিয়ে ৮৫ রান করেন তিনি। আর পুরাণ ৩টি ছক্কা ও ৪টি চারে সাজিয়ে ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

বিপিএলের চলতি আসরে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক এখন সাব্বির। এর আগে রংপুর রাইডার্সের প্রোটিয়া ওপেনার রাইলি রুশোর ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৩ রানের ইনিংস।

রংপুরের হয়ে ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। এছাড়া শফিউল ইসলাম নিয়েছেন এক উইকেট।

১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে যাচ্ছেতাই শুরু হয় রংপুর রাইডার্সের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল শুন্য রানে ফিরে যান। শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামাল দেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা। হেলস ৩৩ রানে ফিরলেও ৬১ রানের ইনিংস খেলেন রুশো। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান এ দক্ষিণ আফ্রিকান।

দলীয় ১৩০ রানে রুশো ফিরে যাবার পর রংপুরের জয়ের কাজটা সম্পন্ন করার দায়িত্ব ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের। দুর্দান্ত শুরুর পরও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ২টি করে চার ও ছক্কায় ২১ বলে ৩৪ রান করেন ডি ভিলিয়ার্স।

মাঝে রংপুরের মিডল-অর্ডারের চার উইকেট তুলে সিলেটকে দারুনভাবে খেলায় ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। এমন অবস্থায় শেষ ২ ওভারে ২৪ রান প্রয়োজন পড়ে রংপুরের।

১৯তম ওভারে মাশরাফি ও ফরহাদ রেজা ১৯ রান তুলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাই শেষ ওভারে ৫ রান দরকার পড়ে রংপুর। শেষ ওভারে তৃতীয় বলেই জয় নিশ্চিত করেন মাশরাফি-ফরহাদ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন ফরহাদ। মাশরাফি ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সিলেটের তাসকিন ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট সিক্সার্স: ১৯৪/৪, ২০ ওভার (সাব্বির ৮৫, পুরান ৪৭*, মাশরাফি ২/৩১)।

রংপুর রাইডার্স: ১৯৫/৬, ১৯.৩ ওভার (রুশো ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৩৪, তাসকিন ৪/৩১)।

ফল: রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে জয়ী।\

ম্যাচ সেরা: রিলি রুশো(রংপুর রাইডার্স)।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত